
জুবায়ের আহমেদ, লাখাই: লাখাইয়ে উপজেলার ৫ নম্বর করাব ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের করাব গ্রামের ভূমিহীন, গৃহহীন বিধবা রিনা বেগম বাঁচতে চায় মরণ ব্যাধি নামক রোগ থেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় হতদরিদ্র রিনা বেগম এর স্বামী মৃত্যু আবেদ আলী বছর তিনেক আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বামী আবেদ আলী ভিটে বাড়ী জমিজমা তেমন ছিলনা বললেই চলে। ১ মেয়ে নিয়ে সংসার, অনেক রকমের কষ্টে দিনাতিপাত করতে হতো।এর মধ্যে মেয়েকে বিয়ে দিয়েই কিছুদিন পর আবেদ আলী মৃত্যুবরণ করেন, আর তাতেই রিনা বেগম পড়ে যায় অথৈজলে।রিনা বেগমের ইনকামের কোন রাস্তা না পেয়ে সে ভিক্ষ্যাবৃত্তি করে চালাতে থাকেন সংসার, অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতে হয়। এঅবস্থায় বার্ধক্যজনিত রোগে ভোগে আজ দেশবাসীর কাছে আকুতি জানাচ্ছেন।
রিনা বেগমের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে জীবন নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে অসুস্থ শরীর নিয়ে নামে ভিক্ষা ভিত্তিতে।রিনা বেগম গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করে যা আয় করে তা দিয়ে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। ভিটেমাটি না থাকায় গ্রামের এক পাড়া-প্রতিবেশীর একটি ডেড়াতে বসবাস করছে।
ষাটোর্ধ বিধবা রিনা বেগম এর সাথে আলাপকালে জানান আমি খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছি। আমার এ অভাবের সংসারে অদ্যাবধি কোন সরকারি সহযোগিতা বা ভাতার সুবিধা পাইনি।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট বহুদিন যাবত আবেদন নিবেদন করেও কোন ফলোদয় হয়নি।এখন আমার হয়ত মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে, কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে আজকে আমি চলাফেরা করতে পারছি না,সমাজের বিত্তবানদের কাছে আহ্বান আমি বাঁচতে চাই, আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই, আমাকে একটু সহযোগিতার হাত বাড়ান, আপনাদের সহযোগিতা পেলে হয়তো আমি বাঁচতে পারব। আমার একমাত্র মেয়ে মোছাঃ হেনা আক্তার( ২৮) গত তিন বছর আগে বিয়া দিয়ে ছিলাম,সে অসুস্থ হওয়াতে তার স্বামী তাকে আমার কাছে রেখে চলে যায়,সে সুস্থ হয়ে কিছুদিন ওলিপুর প্রাণ কোম্পানিতে চাকরী করেছিল তাতে মোটামুটি ভালই চলছিলাম, আজ ৪মাস ধরে সে অসুস্থ এখন আমরা মা মেয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছি, এদিকে অসুস্থতায় দিন দিন গনিয়ে আসছে মনে হয় মৃত্যু, আমার শেষ ইচ্ছা আমি আর কয়েকটা দিন বাঁচতে চাই।
দ.ক.সিআর.২৫