চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ছনখলা গ্রামের আওয়াল মিয়া ও তার স্ত্রী শিল্পী আক্তারের মারধরে গর্ভের সন্তান নষ্ট হওয়ার অভিযোগ করেছেন একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম এর স্ত্রী শাবানা বেগম। এ ব্যাপারে তিনি হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল আমল
আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। (যার নং সিআর ৬০৮/২০২৫) ঘটনাটি ঘটেছে গত ১আগস্ট বিকাল আনুমানিক ৫ ঘটিকায়।
শাবানে বেগম জানান, ঘটনার দিন বিকালে আওয়াল মিয়ার শিশু পুত্র ও শাবানা বেগমের শিশু পুত্রের মধ্যে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে আওয়াল এর স্ত্রী শিল্পী আক্তারের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আঃ আওয়াল ও তার স্ত্রী শিল্পী আক্তার শাবানার বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে।
শাবানার শোরচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। আওয়াল ও তার স্ত্রীকে আটকাতে চেষ্টা করে। কিন্তু আওয়াল ও তার স্ত্রী শাবানা মাটিতে পড়ার আগ পর্যন্ত তাকে কিল-ঘুষি লাথি মারতেই থাকে। শাবানা ২মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মারধরে শাবানার রক্তক্ষরণ শুরু হলে আওয়াল ও তার স্ত্রী শিল্পী ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আত্মীয়স্বজনরা তাকে প্রথমে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চুনারুঘাট থেকে রেফার করা হয় হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে।
সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন। তবে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। এই মর্মে বাদী হয়ে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, শাবানা আওয়ালকে গালাগালি করার এক পর্যায়ে আওয়াল ক্ষীপ্ত হয়ে শাবানা মুখ জোরে চেপে ধরে এবং মারধর করে। তবে আঃ আওয়ালের স্ত্রী শিল্পী আক্তার তার স্বামীকে আটকানোর চেষ্টা করে।
গ্রামের মুরুব্বি নুর মোহাম্মদ বলেন, ঘটনাটি রফিকুল তাকে জানিয়েছে। এখানে গর্ভ নষ্টের অভিযোগ থাকায় তারা গ্রাম্য শালিশ করেননি। শুধু মারামারির অভিযোগ হলে তারা শালিশে নিষ্পত্তির চেষ্টা করতেন। তার কথায় অন্যান্য উপস্থিতিরাও সায় দিয়েছেন।
এ বিষয়ে, অভিযুক্ত আঃ আওয়াল ও তার স্ত্রী কাছে জানতে চাইলে আঃ আওয়াল বলেন, শাবানা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঠি দিয়ে বারি মেরেছে। তার হাতের আঙ্গুলের গোঁড়ায় কামড় মেরেছে। তার হাত থেকে রেহাই পেতে তিনি শাবানাকে দুটি চড় মেরেছেন একটি কোথায় লাগেনি অপরটি শাবানার গালে লেগেছে।
শিল্পী আক্তার বলেন, শাবানার ৮ মাসের একটি বাচ্চা রয়েছে। তার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। একটি থাপ্পড়ে কারও গর্ভ নষ্ট হয় না।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আওয়াল তার মা, নানা, মামা, মামাতো বোন নিজের ভাইয়ের বউ সহ অনেকের গায়েই হাত তুলেছেন বিভিন্ন সময়ে। আওয়ালের বিরুদ্ধে তার চাচাতো বোন জেসমিন আক্তারও মামলা করেছেন কিছুদিন আগে।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুর আলম বলেন, ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে এবং আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত চলছে।
দ.ক.সিআর.২৫