1. live@kaalnetro.com : Bertemu : কালনেত্র
  2. info@www.kaalnetro.com : দৈনিক কালনেত্র :
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
হবিগঞ্জে নবাগত পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুনের যোগদান চুনারুঘাট প্রেসক্লাবে মিথ্যাচারের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন মাধবপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু লাখাইয়ে ২০-২৫ জন প্রতিবন্ধী ভাতা বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে হবিগঞ্জে বিজিবির হাতে ভারতীয় ইস্কফ সিরাপসহ এক জন আটক লাখাইয়ে নির্মাণের ২ মাসেই বেহাল, পাকা রাস্তা এখন জনদুর্ভোগের প্রতীক  স্কুলে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা! প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি অনলাইন জুয়ায় আসক্তি: ফায়ার সার্ভিস কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার  লাখাইয়ে কাইঞ্জা বিলে ইজারাদারের নৌকায় আগুন ও হামলা আহত ৬ মিরাশিতে বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ

একটি প্রাতিষ্ঠানিক আলোচনা- ❝জেদী বাচ্চা মানেই বুদ্ধিমান বাচ্চা❞

দৈনিক কালনেত্র
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

 

অনেক সময় শিশুর জেদ দেখলে আমরা বিরক্ত হই। ভাবি— কেন কথা শুনছে না! কিন্তু সত্য হলো, শিশুর জেদ তার বুদ্ধিবিকাশেরই শক্তিশালী লক্ষণ।

জেদ মানে শিশুটি ভাবতে শিখছে। যখন সে “না” বলে বা নিজের মতামত ধরে রাখে, তখন সে বোঝায়—“আমিও বুঝি, আমিও সিদ্ধান্ত নিতে চাই।” এই স্বাধীন চিন্তাই তাকে ভবিষ্যতে আত্মবিশ্বাসী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।

অভিভাবকের প্রথম দায়িত্ব শান্ত থাকা। শিশুর জেদ যত বাড়ে, আমাদের রাগ তত বাড়ে। কিন্তু রাগ দেখালে পরিস্থিতি খারাপই হয়। শান্ত, ধীর স্বরে কথা বললে শিশুরাও নরম হয়ে আসে। অনেক সময় আপনার স্থির মুখটাই কাজ করে।

জেদ সামলানোর সহজ কৌশল

১) খেলার ছলে উল্টো কথা বলা (Reverse Psychology)
নিষেধ করলে শিশুরা উল্টো সেটাই করতে চায়। যেমন— “আজ তুমি দুধ খেও না।”
শিশু—“না, আমি খাব!”
কারণ সে নিজের সিদ্ধান্তে দৃঢ় থাকতে ভালোবাসে।

২) ছোট্ট “বিকল্প” দেওয়া
আদেশ শিশুরা পছন্দ করে না, কিন্তু তারা পছন্দ করে নিজে বেছে নিতে। “দুধ খাও”— এই আদেশ সে না-ও মানতে পারে।
কিন্তু—“দুধ গরম খাবে, নাকি ঠান্ডা?” সাথে সাথে একটা বেছে নেবে। সিদ্ধান্ত তার, কাজটাও হয়ে গেল—দু’পক্ষেরই জয়।

এক মা তার শিশুকে বাইরে নিতে পারছিলেন না। শিশু জেদ করছিল, “যাবো না।”
মা মজা করে বললেন, “বাইরে গেলে এক চোখ বন্ধ করে যাবে, না দুইটা?”
শিশু হেসে বলল, “দুইটা!”
মুহূর্তেই জেদ বদলে গেল আনন্দে।

জেদ—একটি স্বাভাবিক বিকাশ ধাপ—

দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সে শিশুরা সবচেয়ে বেশি জেদ করে, কারণ তখনই তারা স্বাধীন হতে শেখে। জেদ দমন নয়—বোঝা প্রয়োজন। কারণ জেদ মানে শুধু প্রতিবাদ নয়, এটি চিন্তার প্রকাশ। আপনি যদি সেই চিন্তাকে সম্মান করেন, ধৈর্য দেখান— তাহলে এই জেদী শিশুই একদিন হবে আত্মবিশ্বাসী, সচেতন, দৃঢ় মানসিকতার একজন মানুষ।

দ.ক.সিআর.২৫

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© 𝐰𝐰𝐰.𝐤𝐚𝐚𝐥𝐧𝐞𝐭𝐫𝐨.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট