জুবায়ের আহমেদ, লাখাই প্রতিনিধি:
সনাতন ধর্মালম্বীদের বহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা এই উৎসবের প্রধান প্রতিমা। আর এই উৎসবকে ঘিরে সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে চলছে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর (রবিবার) মহালয়া মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ জানানো হবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার) ষষ্ঠী মধ্য দিয়ে পুজা শুরু হবে। বিভিন্ন পূজা মন্ডলে ও মৃৎ শিল্পীদের বাড়িতে দেবী দূর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মীকে আকৃতি দিতে ঘাম ঝরাচ্ছেন তারা। রাত দিন চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। শিল্পী আর সহযোগিরা মিলে বানাচ্ছেন দূর্গার প্রতিমা। মাটি আর খড় পানি দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে এসব প্রতিমা। এরপর এতে দেওয়া হবে রং।
এক সেট প্রতিমার জন্য দেবী দুর্গা ও বাহন সিংহ, দেবী সরস্বতী, বাহন রাজহাঁস, কার্তিক ও তার বাহন ময়ূর, গণেশ ও তার বাহন ইদুর, লক্ষ্মী বাহন পেছা অশুর কে বানানো হয়ে থাকে।
সরেজমিনে লাখাই উপজেলার মোড়াকরি পাল পাড়া, লাখাইর স্বজনগ্রাম পালপাড়া ও রুহিতনসী ঠাকুর হাটি প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমাশিল্পীরা। মৃৎশিল্পী রাজ কুমার আচার্য্য সাথে আলাপকালে তিনি জানান পূজার দুই মাস আগে থেকে প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু করতে হয়। বর্তমানে মাটি, রং বাঁশের দাম বেড়ে গেছে। আগে এক সেট দূর্গা প্রতিমা তৈরি করতে ১৬ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় এখন তা বেড়ে ২৫ /৪০ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়।আবার কোন কোন প্রতিমা তৈরির কাজে লক্ষ টাকার বেশী খরচ পড়ে। নিত্যানন্দ পাল বলেন আমি সিলেটে প্রতিমা তৈরি করেছি এক লক্ষ টাকার বেশী মজুরি। বাড়ির প্রতিমার দাম কম বেশী আছে ।
লাখাই উপজেলার প্রতিমা শিল্পীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডাক পড়ে। বর্তমানে উপজেলার মোড়াকরি গ্রামে ৮ টি পরিবার এ প্রতিমা তৈরির কাজে যুক্ত রয়েছেন।
নিত্যানন্দ পাল আরোও জানান সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে লাখাইয়ের ঐতিহ্য প্রতিমা শিল্পীদের টিকিয়ে রাখা উচিৎ।
লাখাই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রানেশ গোস্বামীর সাথে আলাপকালে জানান প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আমরা উতসব মুখর পরিবেশে শারদীয় দূর্গোতসব পালনের নিমিত্তে প্রস্তুতি চলছে। উপজেলার ৬৫ টি পূজামন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। গত বছর ৬৩ পুজা উদযাপিত হয়েছিল এ বছর পুজা বাড়ছে তবে অশৌচ থাকায় কারনে আরো কয়েকটি পুজা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আশীষ দাশ গুপ্ত বলেন
হবিগঞ্জ জেলা তথা লাখাই উপজেলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দীর্ঘদিনের। তাই আমরা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সিলেট বিভাগ সকলের প্রিয় ব্যক্তি আলহাজ্ব জি কে গউছ ভাই এর সহযোগিতার নির্বিঘ্নে পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আসছি। গত বছর প্রশাসন দুর্বল থাকায় আলহাজ্ব জিকে গউছ ভাই নেতৃত্বে প্রতিটি পূজা মন্ডপে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পাহাড়ায় ছিল, কোন প্রকার ভয় বা শঙ্কা নেই।
দ.ক.সিআর.২৫