আসাদ ঠাকুর, অমনিবাস:
চুনারুঘাট উপজেলার সড়কগুলো বৃষ্টিতে হয়ে ওঠে জলমগ্ন খাল! সড়কজুড়ে খানাখন্দ আর কাদা-পানি। কোনো কোনো অংশে সড়কের চিহ্নই খুঁজে পাওয়া কঠিন। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারকাজ বন্ধ থাকায় উপজেলার গ্রামীণ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করছেন লাখো মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত, যা বৃষ্টির পানিতে ভরে গেছে। কোথাও হাঁটুসমান পানি, আবার কোথাও কাদার আস্তরণ। যান চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এসব সড়ক দিয়ে এখন হেঁটে চলাও দুঃসাধ্য।
সময়মতো কাজের দরপত্র আহ্বান না করা, দরপত্রে জিনিসের দাম এক, আর বাজারে আরেক, সময়মতো বরাদ্দ না আসা ও ঠিকাদারের অবহেলার কারণে পড়ে আছে চুনারুঘাটের বেশির ভাগ গ্রামীণ রাস্তার উন্নয়নকাজ। আর এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। বিশেষ করে স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রী, রোগী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা বিপাকে পড়েছেন বেশি।
উপজেলার প্রায় সবক’টি গ্রামীণ রাস্তার অবস্থা শোচনীয়। পৌর এলাকার রাস্তাগুলোর অবস্থা আরও খারাপ। কবে এখানকার ভাঙাচোরা রাস্তাগুলো সংস্কার হবে, তা কারো জানা নেই।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় কাঁচা-পাকা মিলে সর্বমোট রাস্তার পরিমাণ ৬২৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২১০ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে পাকা। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কারকাজ না হওয়ায় পাকা রাস্তাগুলো খানাখন্দে ভরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এসব গর্ত ও ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ ছাড়া উপজেলার বেশির ভাগ কাঁচা রাস্তাগুলো গ্রামীণ জনপদের মানুষের দুর্ভোগের প্রধান কারণ। বাধ্য হয়ে কোথাও কোথাও এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে নেন। এসব সড়ক দিয়ে রিকশা, টমটম, সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে সাধারণত কোনো চালক যেতে চায় না। আর ভাঙা সড়কের দোহাই দিয়ে অনেক দুষ্টু চালক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।
আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদর চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশ জানান, সাধারণ মানুষের দাবী রাস্তা সংস্কার। কিন্তু বরাদ্দ নেই, সংস্কার হবে কিভাবে?
অথচ গ্রামীণ সড়কের এ অবস্থার কারণে এখন নিয়মিত স্কুল-কলেজে যাওয়া হয় না। প্রায় সময় দেখা যায় টমটম, অটোরিকশা উল্টে যায়। এমন কোনো দিন নেই, সড়কে ৪/৫টি দুর্ঘটনা ঘটে না। গাড়ি দিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা, হেঁটে যেতেই কষ্ট হয়। চারপাশে শুধু কাদা আর পানি। এ অবস্থা আজকে কয়েক বছর ধরে।
উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, রাস্তার উন্নয়নকাজ চলমান প্রক্রিয়া। ক্রমান্বয়ে সবগুলো রাস্তাই সংস্কার করা হবে।
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিন মিয়া বলেন, উপজেলার বিভিন্ন সভায় রাস্তার উন্নয়ন নিয়ে কথা হয়। সে অনুযায়ী তালিকা করে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে কাজ শুরু হবে।
দ.ক.সিআর.২৫