মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে কর্ণেল মো.সালেহ আহমদ এর সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার (৬ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টায় কমলগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
শুরুতে উপস্থিত উপজেলার সকল সংবাদকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় ও পরিচিত পর্ব শেষে তিনি বলেন- আমি সালেহ আহমদ ৩রা মার্চ ১৯৬১ সন তারিখে ৯নং ইসলামপুর ইউনিয়নের গোলেরহাওর গ্রামে আমার জন্ম। ভাণ্ডারীগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা, আদমপুর এম, এ ওহাব উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা- এসএসসি ১৯৭৬, কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি ১৯৭৮, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে ডিগ্রী পড়া অবস্থায় চাকুরীতে চলে যাই। ১৯৭৯ সনের শেষের দিকে সেনাবাহিনীর চাকুরির যাত্রা শুরু। ১৯৮১ সনের জানুয়ারীতে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী ৭ম দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে যোগদান। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৮২ সালের নভেম্বর মাসে কমিশন প্রাপ্ত হই এবং গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করি। নানাবিধ প্রশিক্ষণ এবং পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে কর্ণেল পদবীতে ১৩ মে ২০১১ তারিখে বিগত সরকার কর্তৃক অবসর প্রদান করা পর্যন্ত প্রায় ৩২ বছরের সামরিক জীবন। সেনাবাহিনীতে ৪টি ইউনিটের অধিনায়কত্ব সহ ফরমেশন সদর, সেনাসদর, ডিজিএফআই এর মাঠ পর্যায় ও সদর দপ্তর পর্যায়ে নিয়োগ, বিদ্রোহ-বিদ্ধস্ত বিডিআর (BDR) এর ১টি সেক্টর এর ‘কমান্ড ও শৃংখলা’ পূনঃপ্রতিষ্ঠা, ২টি সেক্টরের বিদ্রোহী সৈনিকদের বিচারিক দায়িত্ব পালন ও বিডিআর (BDR) থেকে বিজিবি (BGB)-তে রূপান্তরে যথাযোগ্য অবদান রাখা আমার কর্ম জীবনের স্মরণযোগ্য অধ্যায়। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সিয়েরালিওন ও মোজাম্বিক-এ অংশগ্রহণ ও উল্লেখযোগ্য বটে। ২০১১ সনের ৬ মে তারিখে আমার নেতৃত্বে বিজিবি (BGB) রংপুর এবং দিনাজপুর সেক্টর এর বিচারকার্য শেষ হয়। ৭ মে ২০১১ তারিখে আমাকে জানানো হয় তদানীন্তন সরকার সেনাবিধির বিভিন্ন ধারার ক্ষমতা বলে আমার বয়সের সময় সীমাতে পৌঁছানোর পূর্বেই আমাকে অবসরে পাঠাতে তারা প্রীত হয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশের পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন নিশ্চিতভাবে এই ধারা চলমান থাকা অবস্থায় একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এই বিশ্বাসকে সামনে রেখে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৪ আসনে নির্বাচন করার জন্য মনস্থ করেছি। কোন রাজনৈতিক দলে এখনো যোগ দেইনি তবে ভবিষ্যতের বিষয়টি সময়ই বলে দিবে। আপনাদের লেখালিখি থেকে জনগণের মন বুঝার প্রচেষ্টা চলমান থাকবে ও আমার জন সংযোগ অব্যাহত থাকবে।
সাংবাদিক নির্মল এস পলাশ ও প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আহমেদুজ্জামান আলম এর সঞ্চালনায় ও আহব্বায়ক এমএ ওয়াহিদ রুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন হাফেজ শফিকুর রহমান, সার্জেন্ট (অবঃ) আবুল হোসেন, সার্জেন্ট (অবঃ) শাহিন রহমান, কর্পোরাল মনিরুজ্জামান, সার্জেন্ট (অবঃ) তৈয়ব আলী, কর্পোরাল (অবঃ) আসহাবুর রহমান, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, ছাব্বির এলাহী, আহাদ মিয়া, শাহাবুদ্দিন শিহাব, সালাহউদ্দিন শুভ, নির্মল এস পলাশ, জালাল উদ্দিন, আব্দুল মুমিন প্রমুখ।
এছাড়াও কমলগঞ্জে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।