ফেরদৌস ফয়সাল: “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন” বাক্যটি যেকোনো ধরনের বিপদ বা পরীক্ষা আসলে পড়া হয়, যা “আমরা তো আল্লাহর এবং নিশ্চিতভাবে আমরা তাঁরই দিকে ফিরে যাব- এই অর্থ প্রকাশ করে।
এটি আল্লাহকে স্মরণ করার, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করার এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরার একটি উপায়। শুধু মৃত্যুসংবাদ নয়, জীবনে যেকোনো ক্ষতি বা কঠিন পরিস্থিতি, যেমন – ভয়, ক্ষুধা, বা সম্পদহানি দেখা দিলে এই দোয়াটি পড়া হয়।
“ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন” পড়ার কারণ:
বিপদ ও পরীক্ষা থেকে রক্ষা:
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন যে তিনি মানুষকে ভয়, ক্ষুধা, এবং সম্পদ ও প্রাণের ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে পরীক্ষা করবেন। এই দোয়া পড়া ধৈর্যশীলদের একটি গুণ, যারা এই পরীক্ষাগুলোতে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তাঁরই দিকে ফিরে যাওয়ার কথা স্বীকার করে।
আল্লাহর স্মরণ:
এই বাক্যটি আল্লাহকে স্মরণ করার একটি বড় উপায়। এটি বিশ্বাসীদের মনে করিয়ে দেয় যে, তারা আল্লাহরই এবং শেষ পর্যন্ত তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে, যা অনন্ত জীবনের কথা স্মরণ করায়।
কৃতজ্ঞতা ও কৃতজ্ঞতা:
এটি আল্লাহকে স্মরণ ও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
শোক ও সান্ত্বনা:
যদিও শুধু মৃত্যুতেই এটি পড়া হয় না, তবে যেকোনো ক্ষতি বা শোকের সময় এই বাক্যটি পড়ার মাধ্যমে মানসিক শক্তি ও সান্ত্বনা লাভ করা যায়।
কখন পড়া উচিত:
মৃত্যুসংবাদ, শারীরিক ক্ষতি, অর্থনৈতিক ক্ষতি, পারিবারিক সমস্যা, সামাজিক বা ব্যক্তিগত সংকট এবং জীবনে যেকোনো প্রতিকূল বা অপ্রত্যাশিত ঘটনার সম্মুখীন হলে- “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ পড়তে হয়।
এই পবিত্র বাক্য আল্লাহকে স্মরণ রাখার বড় উপায়। যেকোনো ধরনের বিপদ-আপদ সামনে এলে বলা হয় ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’। বিশ্বাসীরা কেবল মুখে বলা নয়; বরং মনে মনে এ কথা স্বীকার করে নেওয়া যে আল্লাহর কর্তৃত্বাধীন।
দ.ক.সিআর.২৫