নিজস্ব সংবাদদাতা: ইসলামি ঐতিহ্য অনুসারে, ওলি-আউলিয়াদের মাজার জিয়ারত করা একটি সুন্নত বা ভালো কাজ, যা আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান মনে করেন, এমন সাধু-সন্ন্যাসীদের কাছে প্রার্থনা করলে আল্লাহ্ তাদের ইচ্ছা পূরণ করেন।
ওলি-আউলিয়াদের মাজার জিয়ারত শেষে এলাকায় ফিরে ফজলুর রহমান আকল এর নির্বাচন করার আশা ব্যক্ত করার বিষয়টি এই মুহূর্তে একটি নির্দিষ্ট ঘটনা নয়, বরং এটি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের আধ্যাত্মিক সাধনা করার প্রবণতার একটি সাধারণ রূপ, যা ইসলামি ঐতিহ্য এবং আধুনিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের একটি মিশ্রণকে তুলে ধরে।
নির্বাচন একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, যেখানে প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করে। মাজার জিয়ারতের মতো আধ্যাত্মিক কাজ করার মাধ্যমে তারা নিজেদের পবিত্রতা ও জনকল্যাণের ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারেন, যা নির্বাচনী প্রচারণার একটি অংশ হিসেবেও দেখা যায়।
আবার কৌশলও হতে পারে যেখানে একজন প্রার্থী নিজেকে একজন ধর্মপরায়ণ ও সাধারণ মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে তুলে ধরতে চান। এর মাধ্যমে তিনি ভোটারদের বিশ্বাস অর্জন করতে পারেন এবং তাদের সমর্থন পেতে পারেন।
বিভিন্ন সময়ে, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা নির্বাচনের আগে মাজার জিয়ারত করেন। এটি একটি প্রথাগত ও আধ্যাত্মিক কাজ, যা রাজনৈতিক প্রচারণায়ও ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে এমন অঞ্চলে যেখানে ধর্মীয় বিশ্বাস গভীর।
উল্লেখ যে, ফজলুর রহমান আকল ২০১৩ সালে এক ট্রাম চুনারুঘাট উেজেলাট আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত মেম্বার ছিলেন। তারপর মধ্যে কিছুদিন তিনি রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে দূরে ছিলেন। বর্তমানে তার দুই ছেলে প্রবাসী ও ছেলের বউ আমেরিকাতে বসবাস করছেন।
আকল মেম্বার বনগাও গ্রামের আ: ছাত্তার হাজী সাহেবের সম্ভ্রান্ত পারিবারে জন্মালেও বর্তমানে আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে আরেকটু বেশি। যেকারণে মানুষের সেবায় বাকি জীবন অতিবাহিত করার মনোবাঞ্চা স্থির করে নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
আর এই কাজে তিনি সকলের সহযোগিতা ও দোয়া চেয়েছেন ফজলুর রহমান আকল।
দ.ক.সিআর.২৫