কালনেত্র প্রতিবেদক
মুসলিম বিশ্বের আনন্দ ও উৎসবের দিন হিজরি নববর্ষ। হিজরি নববর্ষের প্রথম দিনে মুসলিমরা নানা ধরনের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আয়োজন করে থাকে। যার মধ্যে কিছু সাধারণ আয়োজন রয়েছে, যা বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশেই করা হয়। আর কিছু আছে আঞ্চলিক।
চুনারুঘাটের আহম্মদাবাদে হিজরি নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে ইশকে মোস্তফা (সাঃ) যুব ও ছাত্র ফোরাম।
এছাড়াও সন্ধ্যায় আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে হিজরি নববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ সেমিনার ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় হিজরি বর্ষের ইতিহাস, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ দারুচ্ছুন্না কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক আল্লামা মুফতি হাফিজ আহমদ নিজামী শাফি সাহেব।
উক্ত অনুষ্ঠানে শায়ের পরিবেশন করেন সূদুর চট্রগ্রাম ও হবিগঞ্জ থেকে আগত শায়েরবৃন্দ।
মুসলিম বিশ্বের কোনো কোনো অঞ্চলে হিজরি নববর্ষে মুসলিম পরিবারগুলো পরস্পরকে আমন্ত্রণ জানায় এবং তারা আনন্দমুখর পরিবেশে সমবেত হয়। এ উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কাজের উদ্যোগ নিতেও দেখা যায়। যেমন—দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ভেতর খাবার বিতরণ করা, চিকিৎসা ক্যাম্প করা, মানুষের ভেতর ধর্মীয় উপকরণ বিতরণ করা।
আরব উপদ্বীপের দেশগুলোতে হিজরি নববর্ষকে ইসলামী নববর্ষ বলা হয়। এই দিনে সাধারণত সরকারি ছুটি থাকে। পরিবারে ভালো খাবারের আয়োজন করা হয়। পরিবারের সদস্যরা মিলে ঘুরতে বের হয়। তারা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নানা ধরনের আলোচনাসভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও ইসলামের প্রতিটি মৌলিক ইবাদতের সময় হিজরি মাস ও সনের সম্পর্ক জড়িত।
দ.ক.সিআর.২৫