➖
কালনেত্র ডেস্ক
একটি সফল পরিবার ও সুন্দর সমাজের ভিত্তি গড়ে ওঠে পারস্পরিক বোঝাপড়া, ভালোবাসা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে। স্বামী যদি পরিবারের বাহ্যিক দায়িত্ব পালন করেন, স্ত্রী তা সহানুভূতির সঙ্গে গ্রহণ করে পরিবারকে অভ্যন্তরীণভাবে শক্তিশালী করতে পারেন। আবার কর্মজীবী স্বামীদের মানসিক স্বস্তি ও প্রেরণা জোগানোর ক্ষেত্রে স্ত্রীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্ত্রীরা তাদের স্বামীর কাজে নানাভাবে সহযোগিতা করে একটি দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন, যা তাদের দুজনেরই সফলতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
স্ত্রীরা স্বামীর কাজে যেভাবে সহযোগিতা করতে পারেন:
১. মানসিক সমর্থন দেওয়া:
দিনের শেষে একটি শান্ত, ভালোবাসাপূর্ণ পরিবেশ একজন স্বামীর জন্য খুব প্রয়োজন। স্ত্রীর আন্তরিকতা ও প্রশান্ত চিত্ত স্বামীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
২. পরিকল্পনায় সহযোগিতা:
অনেক স্বামীই নানা রকম সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় পড়েন। এ সময় স্ত্রী যৌক্তিক পরামর্শ দিয়ে বা বিকল্প চিন্তা দিয়ে স্বামীর পাশে দাঁড়াতে পারেন।
৩. সময় ব্যবস্থাপনায় সহায়তা:
স্বামী যদি চাকরি বা ব্যবসার কারণে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনায় স্ত্রীর দায়িত্বশীলতা তাকে স্বস্তি এনে দিতে পারে।
দুঃসময়ে পাশে থাকা:
সফলতার সময় পাশে থাকা সহজ, কিন্তু ব্যর্থতার মুহূর্তে উৎসাহ দেওয়া, হতাশায় না ভেঙে সমর্থন জোগানো—স্ত্রীর এই গুণ একজন স্বামীর আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারে।
৫. আত্ম-উন্নয়নের মাধ্যমে সহায়তা:
শিক্ষিত ও সচেতন স্ত্রী নিজে দক্ষ হয়ে স্বামীর সিদ্ধান্তে সহায়তা করতে পারেন। নিজস্ব আয় থাকলে বা সংসারের ব্যয় বণ্টনে সাহায্য করলেও সেটা বড় রকমের সহযোগিতা।
৬. সমালোচনা না করে উৎসাহ দেওয়া:
নিত্যদিনের ভুল-ত্রুটিকে নিয়ে অনবরত সমালোচনা না করে সাহস জোগানো উচিত। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি একজন স্বামীর কর্মস্পৃহা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৭. পরিবারে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা:
কাজ শেষে বাড়িতে কলহ নয়, বরং শান্তির ছোঁয়া চাই। সন্তানদের সঠিকভাবে দেখভাল, পরিবারের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিলে স্বামীর চিন্তার বোঝা হালকা হয়।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক শুধু আবেগের নয়, এটি একটি পারস্পরিক দায়িত্ব ও সম্মিলিত জীবনের পথচলা। একটি সফল কর্মজীবনের পেছনে একজন স্ত্রীর অবদান অনেক সময় দৃশ্যমান না হলেও তা বাস্তব ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই একজন স্ত্রী যদি বোঝাপড়া, ধৈর্য ও সহানুভূতির সঙ্গে স্বামীর পাশে থাকেন, তবে তা শুধু স্বামীর নয়, পুরো পরিবারের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে। সহযোগিতার এই বন্ধনই গড়ে তোলে এক সুখী দাম্পত্য ও সুস্থ সমাজ।
দ.ক.সিআর.২৫