➖
কালনোত্র প্রতিবেদক
ঈদ আনন্দের উৎসব, কিন্তু কোনো আনন্দই শূন্যে জন্মায় না। প্রতিটি মুক্ত সমাজ তার অতীতের শৃঙ্খল ভেঙে, প্রতিটি বিজয় রক্তের মূল্য দিয়ে অর্জিত হয়। ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল শুধু একটি ঘটনার নাম নয়, এটি ছিল জনগণের ইচ্ছাশক্তির বহিঃপ্রকাশ, শাসনের নয়, শোষণের বিরুদ্ধে এক নৈতিক অবস্থান। কিন্তু মুক্তি কখনো চূড়ান্ত হয় না; রাষ্ট্র তখনই মানুষের হয়, যখন প্রতিটি নাগরিক প্রতিদিন নতুন করে তা জয় করে। বাংলাদেশ সেই সংগ্রামেই প্রতিনিয়ত লিপ্ত—শুধু ক্ষমতার রূপান্তরের জন্য নয়, বরং ন্যায়, সাম্য ও মর্যাদার এক সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতিতে।
আমরা জানি, কোনো স্বাধীনতা চূড়ান্ত নয়, এটি প্রতিনিয়ত রক্ষা করতে হয়। আমাদের ভূমিতে আশ্রিত রোহিঙ্গারা আজও এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সন্ধানে, যাদের জন্মভূমি এক নিষ্ঠুর রাষ্ট্রযন্ত্রের হাতে ছিন্নভিন্ন। আর ফিলিস্তিন? তাদের ঈদ আজও রক্তে লেখা, তাদের প্রার্থনা আজও আগুনের ধোঁয়ায় ঢাকা।
তবু ঈদ মানে আশার নাম। ঈদ মানে বিশ্বাস, যে নিপীড়নের যত হাত দীর্ঘ হোক, মানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা তার চেয়ে প্রবল। বাংলাদেশ তার গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় যেমন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তেমনি বিশ্বজুড়ে নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামের সাথেও একাত্মতা ঘোষণা করে। কারণ ইতিহাস বলে, প্রতিটি অন্যায়েরই শেষ আছে, প্রতিটি অন্ধকারের পরে এক নতুন ভোর অপেক্ষা করে।
মানুষের মুক্তি, সাম্যের প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্যহীন এক পৃথিবীর লক্ষ্যে এই ঈদ হোক প্রতিরোধের, সংহতির, মুক্তির এক নতুন সূর্যোদয়ের বার্তা।
ঈদ মোবারক
দ.ক.সিআর.২৫