দ.ক
সম্পাদকীয় কলাম◾
একটা ট্রমাটাইজড প্রজন্মের মুখোমুখি বাংলাদেশ! যদিও এটাই বিকাশমান পুঁজিবাদী সমাজের সাধারণ বৈশিষ্ট । শিল্পবিপ্লত্তোর ইউরোপের সমাজ কাঠামো এভাবেই ভেঙ্গে পড়েছিল। যার ফলে বিশ্ব দুটো বিশ্বযুদ্ধ সহ সারা পৃথিবীতে বড় বড় কয়েকটি গৃহযুদ্ধ মোকাবেলা করতে হয়েছিল। পতন ঘটেছিল সামন্ত অর্থনীতি ও ভুখন্ড দখলে রাখার সম্রাজ্যবাদ; অন্যদিকে পৃথিবী প্রবেশ করে নতুন সম্রাজ্যবাদী যুগে।
বাংলাদেশে বিগত ১৬ বছর যে সরকার কাঠামো পরিচালিত হয়েছে তার মধ্যে একধরণের বৈচিত্রহীনতা ও নিয়ন্ত্রণমূলক প্রক্রিয়া বলবৎ ছিল। এই বৈচিত্রহীনতা ও নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াটির অনিবার্যতার পক্ষেও অনেক যুক্তি দেয়া যাবে। কিন্তু এই নিয়ন্ত্রণমূলক প্রক্রিয়াটির প্রভাব থেকে জাতিকে মুক্ত রাখা সম্ভব হয়নি, এটাই বাস্তব।
এর আগের সময়ের সরকারগুলোর মধ্যেও এই প্রক্রিয়া দৃশ্যমান কিন্তু ওদের মেয়াদ ৫-৬ বছরের বেশী ছিলনা বিধায় তার প্রভাব ততটা গভীরে পৌঁছানোর আগেই একটা পরিবর্তনের প্রত্যাশায় মানুষ আশাবাদী হয়েছিল। এবার ১৬ বছর পরেও যে পরিবর্তন হলো সেই পরিবর্তন মানুষকে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে তেমন আশাবাদী করতে পারেনি। বরং পরিবর্তনের পরে তাদের সেই হতাশা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকের কাছেই এখন বিষয়টা এমন ‘এটা কিহলো’? ফলে গোটা তরুন সমাজ একটা অস্বস্থিকর অসুস্থতার মধ্যে পতিত হয়েছে। এবং এই অসুস্থতা থেকে মুক্তির জন্য নতুন কোন দিক নির্দেশনাও তরুন সমাজের কাছে নেই। তাই ক্ষমতাসীন শক্তি খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। এবং দেশ নতুন করে নৈরাজ্যবাদিতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর্মি বা নতুন কোন নিয়ন্ত্রনবাদিতা এই সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলবে।
তাই অচিরেই বহুদলীয় পরিবর্তন প্রত্যাশি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চালু করা প্রয়োজন, যেখানে তরুন সমাজ নানা দলে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারে।
আসাদ ঠাকুর
কবি, লেখক ও সাংবাদিক
দ.ক.সিআর—২৪