
আব্দুল মোহাইমিন চৌধুরী
হবিগঞ্জ টু সিলেট বাস সার্ভিসের উপর আমাদের অনেকের ক্ষোভ থাকতেই পারে। আমারও অনেক ক্ষোভ রয়েছে। তাই বলে আমরা এদের অবদান ভুলে যাই কিভাবে?
যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় জেলা টু জেলা বাসে ভ্রমণ করে থাকেন তারাই বলতে পারবেন বিরতিহীন এর সার্ভিস কিরকম? তাছাড়া বিরতিহীন যেরকম স্টপেজ ছাড়া যাত্রী পরিবহন করে না বা ছাদে মালামাল বহনসহ অনেক নিয়ম কারণ মেইনটেইন করে আমার মনে হয় বাংলাদেশের অন্য কোন জেলা টু জেলা সার্ভিস বাস এভাবে মেনটেন করে না।
বিরতিহীনের বিকল্প এখনো অন্য কোন বাস সার্ভিস এই রুটে হয়নি। বরং এই রুটে চলাচলকারী অন্য বাস বিরতিহীনের কারণে সুশৃংখলভাবে চলাচল করতে বাধ্য থাকে কম্পিটিশনের টিকে থাকার জন্য। বিরতিহীনের উপর এত অভিযোগ, গালাগালি তারপরও কিন্তু আমরা বিরতিহীন বাসের জন্য অপেক্ষা করি,লাইনে দাঁড়াই।
এই দেশে হাজার হাজার অনিয়মের মাঝে বিরতিহীন বাসের ছোটখাটো ভুল ত্রুটিগুলো আমাদের চোখে বড় হয়ে ধরা দেয়। সময় মত নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বিরতিহীনকে কি কখনো আমরা ধন্যবাদ দিয়েছি?
আমরা সব সময় বিকল্প খোঁজার চেষ্টা করি, আর তাতে বিপদ আরও বাড়ে। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এই সার্ভিসটির অনেক ভুল ত্রুটি রয়েছে যা সংশোধনের মাধ্যমে আরো গতিশীল সার্ভিস হিসেবে এই রুটে চলাচল করতে পারে সে জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
সেই সঙ্গে মালিক সমিতির যারা রয়েছেন, তারাও একটু চেষ্টা করলে সাধারণ যাত্রীদের সাথে হয়রানি ও চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালনা রোধ করতে পারেন।
এত বড় মালিক সমিতি হওয়ায় প্রতিটি গাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগানো বাধ্যতামূলক ও কন্ট্রোল রুম হতে গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করলে চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালনা ও সুপারভাইজারদের বেপরোয়া কথাবার্তা ও আচরণ হতে সহজেই যাত্রীদের রক্ষা করা সম্ভব।
বিরতিহীন বাসে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়নি এমন কোন যাত্রী আমার মনে হয় নেই যারা নিয়মিত চলাচল করেন। এর জন্য শুধুমাত্র সুপারভাইজার নয় অনেক ক্ষেত্রে যাত্রীরাও দায়ী। সেটাও কিন্তু আমরা চেপে যাই।
পরিশেষে এটাই বলতে চাই যে, এই পরিবহন সার্ভিসটিকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। সিলেট বিভাগের চারটি জেলার মধ্যে কোন জেলায় কিন্তু এরকম সার্ভিস তৈরি করতে পারেনি শুধুমাত্র হবিগঞ্জ জেলা ছাড়া। হবিগঞ্জ সিলেট বিরতিহীন সার্ভিস হবিগঞ্জবাসীর জন্য একটি গর্বের সার্ভিসও বটে।
সেই সঙ্গে মালিক সমিতির আরো সচেষ্ট হওয়া উচিত আমাদের যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং নিরিবিচ্ছিন্ন সার্ভিস প্রদান করার বিষয়ে।
দ.ক.সিআর.২৫