সম্পাদকীয়—
গত এক বছরে কারো বেতন কি বেড়েছে? বেকারত্ব কমেছে? উল্টো শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়েছে! দেশের গার্মেন্টস গুলোর অবস্থা নড়বড়ে৷ কর্পোরেট অফিসগুলোতে কর্মী ছাটাই। ব্যাংকগুলোতে সমানে কর্মী ছাটাই। এনজিও সেক্টরে ফান্ড ক্রাইসিসে হাজারো কর্মীর চাকরি নাই। এছাড়া, দেশের ব্যবসা বানিজ্যের প্রতিটা সেক্টরে আজ ভয়াবহ অবস্থা।
দেশের এই পরিস্থিতিতে দ্রব্যেমুল্যের গত এক বছর আগের তুলনামুলক চিত্রটুকু বিশ্লেষণ করেন। শুধুমাত্র “আলু” ছাড়া প্রতিটা জিনিসের মুল্য বৃদ্ধি!
তথাকথিত এই সরকারের অর্জনটা কোথায়? না ঠিক আছে আইনশৃঙ্খলা! না আছে আইনের শাসন! উলটো সামনে লুটপাট আর চাঁদাবাজির মহাউৎসব যেখানে পর্যটন কেন্দ্রের পাথরগুলো পর্যন্ত নিরাপদ না। ক্যান ইউ ইমাজিং? দিনে-দুপুরে মাসের পর মাস পাথর লুট করে নিয়ে যাচ্ছে, সরকার কোন পদক্ষেপ ই নেয়নি। তাহলে তারা জনগণের টাকায় বেতন-গাড়ি-বাড়ি ভোগ করছে, রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ কি নয়?
এছাড়া উপদেষ্টার দূর্নীতির সংশ্লিষ্টতা, সরকারের মদদপুষ্ট ছাত্রদের কিংস পার্টির কর্মীদের সমানে চাঁদাবাজি, কমিশন বানিজ্য আর টেন্ডারবাজি যেন নিত্যদিনের চিত্র। আর দেশের আনাচে কানাচে মব সন্ত্রাসের ভয়ে অতিষ্ঠ প্রতিটা মানুষ। দেশের ইতিহাস এমন “মবের মুল্লুক” কেউ দেখেনি আগে।
গত এক বছর দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে একটা বড় প্রকল্প কি এই সরকার হাতে নিয়েছে? সেই শেখ হাসিনার আমলের করা একের পর এক প্রকল্প তারা উদ্ভোধন করে যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত। ভেবে দেখুন, সামান্য শিক্ষার্থীদের নতুন বইগুলো তারা দিতে পারেনি, যে বই শেখ হাসিনার সরকার বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিতো।
তারপর দেখুন, পশ্চিমা দেশগুলোতে বাংলাদেশী পাসপোর্ট সমানে রিজেক্ট। স্কলারশিপ তো দূরের কথা, বাইরের ভার্সিটিগুলোতে নিজের টাকায় পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা ভিসা পাচ্ছে না। গত কয়েকদশকে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ভিসা রিজেকশনের হার রেকর্ডব্রেক করেছে। এমনকি পর্যটন দেশগুলোতেও বাংলাদেশী কাউকে ভিসা দিচ্ছে না৷ দেশের পাসপোর্টের ভ্যালু এতোটা খারাপ অবস্থা!
দিনশেষে, ৫ই আগষ্টের পর আমরা সাধারণ জনগণ কি পেলাম আর কি হারালাম, সময়ের সাথে সাথে উপলব্ধি করতে পারছি৷ হয়তো সামনের দিনগুলোতে আরো ভয়াবহ কঠিন সময় অপেক্ষা করছে!
দ.ক.সিআর.২৫