জুবায়ের আহমেদ, লাখাই: হবিগঞ্জ লাখাই সড়কের বুল্লা বাজারে সড়কের উপর বসে সপ্তাহে দুই দিন হাঁস মোরগের হাট। ব্যস্ততম এ সড়কটিতে হাঁস মোরগের হাট বসায় বাজারে আসা সাধারণ মানুষ, পথচারী ও যাত্রীরা চলাচলে দুর্ভোগে পড়ার অভিযোগ করেছেন। কর্তৃপক্ষের কোন হস্তক্ষেপ না থাকায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বছরের পর বছর এ সড়কে এভাবেই বসছে সপ্তাহের দুইদিন শনিবার ও মঙ্গলবার হাঁস মোরগের হাট। জনদুর্ভোগ লাগবে সড়ক থেকে এই হাঁস মোরগের হাট সরাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লাখাই উপজেলার বুল্লা বাজারের পূর্ব পাশে হবিগঞ্জ লাখাই আঞ্চলিক সড়কের উপরে দু’পাশে সারিবদ্ধভাবে হাঁস মুরগি কবুতর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ক্রেতা-বিক্রেতা, পাইকারসহ শতশত হাঁস মোরগ ব্যবসায়ী। ব্যস্ততম এ সড়কটিতে এ হাট বসায় দেখা দিয়েছে জনদুর্ভোগ। হাঁস মোরগ ব্যবসায়ী, পাইকার, ক্রেতা-বিক্রেতা, পথচারী, যানবাহন সবমিলিয়ে যেন সড়কটিতে লেজেগোবরে অবস্থা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহে দুইদিন এ সড়কটির উপরেই বসে এ হাট। উপজেলার সবচেয়ে বড় হাঁস মোরগের হাট হিসেবেও এটি বেশ পরিচিত। উপজেলার ইজারাপ্রাপ্ত বাজারের মধ্যে এটি অন্যতম এবং বড়। শনি ও মঙ্গল সাপ্তাহিক হাটের দিনগুলোতেই এখানে হাট বসার কথা জানিয়েছেন বাজার ব্যবসায়ীরা। হাটবারে শতশত, ক্রেতা-বিক্রেতা পাইকারের হাকডাকে মুখরিত থাকে ঐ সড়ক এলাকা।হাটবারে ব্যস্ততম এ সড়কে হাঁস মোরগের হাট বসায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে এটি আরও জনাকীর্ণ হয়ে পড়ে। সড়কটির দুপাশ থেকে আসা রিক্সা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি, প্রাইভেটকার, ট্রাক্টর, পিকআপ ভ্যানসহ সব ধরনের গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়ে সড়কের উপর এ হাঁস মোরগের হাট কখনো কখনো যানজটের কারণও হয়।
এ ব্যাপারে বুল্লা বাজারের ব্যবসায়িক কল্যাণ সমিতির সভাপতি বাদশা মিয়া বলেন এ বিষয়ে দেখবো কি করা যায়
এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপ কে অবগত করা হয়েছে।
দ.ক.সিআর.২৫