আব্দুর রাজ্জাক রাজু, চুনারুঘাট
চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে একটি কিং কোবরা সাপ অবমুক্ত করা হয়েছে।
(৪ জুন)মঙ্গলবার বিকেলে কিং কোবরা সাপটিকে অবমুক্ত করা হয়ে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের (ওয়াইল্ড লাইফ) রেঞ্জার মাহমুদ হোসেন, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জার মামুনুর রশিদ, বন প্রহরী রাজু ও সাংবাদিকরা।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ সভাপতি পীর সফিকুল ইসলাম জানান, অবুমক্ত হওয়া সাপটি লম্বায় আনুমানিক ৪/৫ফুট হবে।
সোমবার (২৩ জুন ) নবীগঞ্জ উপজেলার রাজা মিয়া নামে এক ব্যক্তির বসত ঘর থেকে সাপটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ বন বিভাগ।
রেঞ্জার মাহমুদ হোসেন ও বন প্রহরী রাজু সাপটিকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন।সাতছড়ি উদ্যানসহ হবিগঞ্জের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় নানা প্রজাতির সাপ রয়েছে।
কোবরা সাপগুলি তাদের বিষাক্ত দাঁতের মাধ্যমে শিকার করে এবং আত্মরক্ষা করে। তাদের বিষ নিউরোটক্সিন প্রকৃতির, যা স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে।
কোবরা সাপের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল তাদের ঘাড়ের পাঁজর প্রসারিত করে ফণা তৈরি করা। এটি তাদের শিকার এবং আত্মরক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
কোবরা বিভিন্ন প্রজাতিতে বিভক্ত, যেমন – ভারতীয় কোবরা, মিশরীয় কোবরা, চীনা কোবরা ইত্যাদি। কিং কোবরা তাদের প্রজাতিগুলির মধ্যে বৃহত্তম এবং সবচেয়ে বিখ্যাত।
কোবরা সাপ বিভিন্ন আবাসস্থলে বসবাস করে, যেমন – জঙ্গল, তৃণভূমি, এবং জলাভূমি। কিছু প্রজাতি মানুষের আবাসস্থলের কাছাকাছিও বসবাস করে।
কোবরা সাপ সাধারণত শিকারী এবং তাদের খাদ্যতালিকায় ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, এবং অন্যান্য সরীসৃপ অন্তর্ভুক্ত থাকে। তারা সাধারণত আক্রমণাত্মক নয়, তবে হুমকি অনুভব করলে ফণা তুলে সতর্ক করে বা আক্রমণ করতে পারে।
কিং কোবরা অন্যান্য সাপ খেয়ে বেঁচে থাকে, যা তাদের “ওফিওফ্যাগাস” (Ophiophagus) নামের অর্থ বহন করে, যার অর্থ “সাপভুক”
এগুলোকে যাতে মেরে ফেলা না হয় সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়া উচিত।
দ.ক.সিআর.২৫