➖
শেখ তিতুমীর আকাশ
সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে একাধিক সংগঠন গড়ে উঠলেও সেগুলো সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধে বা নির্যাতনের ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবি আদায়ে কতোটা তৎপর সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
সংগঠনগুলোর মধ্যে একে তো ঐক্যের অভাব, তেমনি রয়েছে প্রভাবশালীদের চাপ এবং সাংবাদিকদের চাকরির নিশ্চয়তা গড়ে না ওঠায় সংগঠনগুলো দাবি আদায়ে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে।
সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো রাজনৈতিক ভাবে বিভক্ত। কোন একটা বিষয়ে যদি সবার এক হওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তখন দেখা যায় রাজনৈতিকভাবে কেউ কেউ এটার ফায়দা নিতে চেষ্টা করে। আবার সাংবাদিকদেরও সাহসের অভাব আছে, কারণ সাংবাদিকদের চাকরির নিশ্চয়তা এখনও গড়ে ওঠেনি।”
এদিকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, জাতীয় প্রেস কাউন্সিল দিনের পর দিন একেকটা নিয়ম জারি করেই চলেছে, আজ অবদী তার কোন সুফল পায়নি কোন সাংবাদিক।
যেখানে সাংবাদিকদের “জব সিকিউরিটি নাই সেখানে তারা সোচ্চার হবে কিভাবে। সাংবাদিক হত্যা বা নির্যাতনের সাথে যারা জড়িত তারা রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িকভাবে খুবই প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ জোগাড় করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। কাজেই বিচার পায় না ৮৫% সাংবাদিক।
বাংলাদেশের সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলা হলেও রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে সেই স্বাধীনতা নিশ্চিত করা যায়নি। নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক বিচার না পেয়ে এক পর্যায়ে চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। কিন্তু এখনও কোন ঘটনার বিচার না পেয়ে নিরাপত্তাহীনতা তাকে তাড়া করে বেড়ায় অনেক সাংবাদিক কে।
দ.ক.সিআর.২৫