সম্পাদকীয়◾
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত দিন ১২ রবিউল আউয়াল। মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
এ দিন মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচি পালিত হয়। এই দিনটিকে অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন হিসেবে বিবেচনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর জন্মের আগে গোটা আরব বিশ্ব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। তাই এই যুগকে বলা হয় ‘আইয়্যামে জাহেলিয়া’। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করত। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তায়ালা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দুনিয়ায় পাঠান।
তৎকালীন আরব দুনিয়ার বাস্তবতায় এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকেন। যেকারণে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নেয়। এ সব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.) এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
এছাড়া পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ক_
সিআর—২৪