সম্পাদকীয়◾
ছাত্র জনতার ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রাম শেষ হয়নি। পতিত, বা অন্য কোনোভাবে, বা অন্য কোনো নামে ফ্যাসিবাদ যাতে ফিরে আসতে না পারে, তার উদ্ভব হতে না পারে, সেটা প্রতিরোধে রাষ্ট্র ও সমাজের গণতান্ত্রিক সংস্কারের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রগতিশীল শক্তি এখনো ঐক্যবদ্ধ ও সংহত নয়।
অন্যদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও সেনাবাহিনী একযোগে কাজ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সন্তোষজনক জায়গায় নিতে পারেনি। মানুষের মধ্যে কিছু হতাশা বিরাজ করছে।
ভারত ও পতিত স্বৈরাচারের দোসর সহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন শক্তি ও এজেন্সির নানা মাত্রিক ষড়যন্ত্র এখনো আছে।
জাতীয় সংগীত বিতর্ক ষড়যন্ত্রের একটি দিক সামনে নিয়ে এসেছে। গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। কিছু ঘটনা থেকে এটা বোঝা যাচ্ছে, হিন্দু সম্প্রদায়কে ট্রামকার্ড হিসেবে ব্যবহারের চিন্তা এখনো পরিত্যক্ত হয়নি। মাজার ভাঙ্গা রোধ করতে রাষ্ট্রের কার্যকর নির্দেশনা ও ভূমিকা লক্ষ করা যায়নি।
বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের উদ্ভব ও টিকে থাকার দেশীয় মূল ভিত্তি সামরিক- বেসামরিক আমলাতন্ত্র ও মাফিয়া ব্যবসায়ীদের সাথে গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের দ্বন্দ্ব তীব্র হয়ে উঠার কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে গণঅভ্যুত্থানের গতিমুখ যাতে পাল্টে না যায় সেজন্য ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রগতিশীল ছাত্র শ্রমিক জনতার নিজস্ব শক্তি ও সংগঠন বিস্তৃত করে, ব্যাপক ঐক্য ও আান্দোলন গড়ে তুলে সক্রিয় থাকা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
আসাদ ঠাকুর
কবি, লেখক ও সাংবাদিক
ক_
সিআর—২৪