মীর জুবাইর আলম,চুনারুঘাট
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ছনখলা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে দালাল তোফাজ্জল ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার এর মিথ্যা আশ্বাসে একই গ্রাম সহ অত্র উপজেলার ৪০ জন যুবককে সৌদি আরবে কাজের কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বছরখানেক আগে দালাল তোফাজ্জল এর লোভনীয় অফারে চুনারুঘাট সহ বিভিন্ন এলাকার ৪০ জন যুবক সৌদির ভিসার উদ্দ্যেশে ৫ লক্ষ টাকা করে দেয়।
তাদেরকে সেখানে নেওয়ার পর আকামা বা কাজের সুযোগ সুবিধা দেয়নি দালাল তোফাজ্জল। ফলে এক বছর যাবত রাস্তায় ও পার্কের বিভিন্ন স্থানে রাত যাপন ও মানবেতর জীবন যাপন করছে ভুক্তভোগীরা। তারা সৌদি আরব থেকে সামাজিক মাধ্যমে মানবতার জীবনযাপন এর বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে কান্না জড়িত কন্ঠে ভিডিও প্রকাশ করেন।
প্রতিবেশীরা বলেন, দালাল তোফাজ্জলের ১ বছর পূর্বে কিছুই ছিল না তার। হঠাৎ ২ কোটি টাকা খরচ করে নিজের আলিশান বাড়ি তৈরি করেন তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার। বাংলাদেশে দালাল তোফাজ্জলের টাকা-পয়সার লেনদেন করেন তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার।
ভুক্তভোগী একই গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমেদ সৌদি আরব থেকে ভিডিও বার্তায় বলেন, তিনি এক বছর যাবত মানবেতর জীবনযাপন করছেন, বারবার দালাল তোফাজ্জলকে টেলিফোন দিলে সে ফোন রিসিভ করে না।
একইভাবে জাহির মিয়ার ছেলে মো. শামীম মিয়া, শওকত আলীর ছেলে শাকিল মিয়া, বাচ্চু মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া, দুদুমিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া, মোতালেব মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া, বাসুল্লা গ্রামের আলমগীর মিয়ার ছেলে নাঈম মিয়া, মোস্তফা মিয়া ছেলে উজ্জল মিয়াসহ ৪০ জনই সৌদ থেকে তাদের অনিশ্চিত প্রবাস জীবনের দূর্বাস্থার কথা জানান।
ভোক্তভোগীদের পরিবারের লোকজন বলেন, আমরা তোফাজ্জলের বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী আমাদেরকে বিভিন্ন হুমকি দামকি দিচ্ছে। আমাদের সন্তানদের কাজের কোন সুরাহা করতে আগ্রহী না। আমরা সুদের উপর টাকা নিয়ে আমাদের ছেলেদেরকে বিদেশে পাটিয়েছি। কিন্তুু আমাদের ছেলেদের কোন কাজ নেই, বেতন নেই, খাবারও নেই।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, ইদানিং অনেক লোকজন দালাল তোফাজ্জল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আসছেন। সে প্রবাসে থাকার কারণে বিষয়গুলো মীমাংসা বা কোন পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। ভুক্তভোগীরা আমাকে ফোন দিয়ে বারবার যোগাযোগ করছেন। আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুর আলম বলেন, অনেকেই মৌখিকভাবে অভিযোগ দিচ্ছেন তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দ.ক.সিআর.২৫