বিশেষ প্রতিবেদন
বিবাহিত ও অবিবাহিত স্থুলকায় নারীদের নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এই প্রতিযোগীতার গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে গেল ১১ জুলাই ঢাকার বেইলি রোডস্হ গার্লস গাইড এসোসিয়েশন মিলনায়তনে।
আয়োজকরা জানান, এটি শুধুমাত্র একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতাই নয়, স্থুলকায় নারীদের স্বাস্থ্য-সচেতনতার মাধ্যমে তাদের মেধার বিকাশ ঘটানোরও এটি একটি মাধ্যম। উক্ত প্রতিযোগিতায় হাজার হাজার প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে বিভিন্ন বাছাই পর্ব উৎরিয়ে গ্রান্ড ফাইনালে প্রথম রানার আপ হয়েছেন সিলেটের শ্রীমঙ্গলের প্রতিযোগী লাকী চন্দ।
প্রতিযোগীতার প্রথম বিজয়ী হয়েছেন অনন্যা খান এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন মাফিয়া বর্ষা।জানা যায়, দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ৭০জন প্রতিযোগীকে মূল পর্বের জন্য নেওয়া হয়।
এদেরকে নিয়ে বিভিন্ন গ্রুমিং-এর মাধ্যমে অভিনয়, র্যাম্প শো, উচ্চারণ, নৃত্য সহ যাবতীয় ট্রেনিং করানোর মতো বিভিন্ন রাউন্ড শেষে সেরা ১০ জনকে গ্রান্ড ফাইনালের জন্য মনোনীত করা হয়। আর এই ১০জন থেকে গালা রাউন্ডে বিচারকগণ পারফর্মেন্স এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাটাগরি বিবেচনায় নিয়ে সেরা ৩জন নির্বাচিত করেছেন। প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক নাট্যঅভিনেতা ও গীতিকবি রাজীব মণি দাস বলেন, অনেকের ধারণা সুন্দরী প্রতিযোগিতা মানে জিরো-ফিগার, গায়ের রং ফর্সা, রূপের আকর্ষণ ইত্যাদি। এর বাইরেও একটা মানুষের যে আরও অনেক ধরনের জ্ঞান-বুদ্ধি কিংবা যোগ্যতা থাকতে পারে, সেদিকে আমাদের খেয়াল নেই। আর তাই এই প্রতিযোগিতা স্বাস্থ্যবতী নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতার পাশাপাশি সংস্কৃতি অঙ্গনে তাদের নিজ নিজ দক্ষতার মাধ্যমে অবদান রাখতে সমর্থ্য হবে বলে আমার বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে অন্যান্নদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখি, পরিচালক মো. ফাহাদ, ফ্যাশন ডিজাইনার রুমি করিম, ড্যান্স কোরিওগ্রাফার ইউসুফ খান প্রমুখ।
দ.ক.সিআর.২৫