কালনোত্র ডেস্ক ◾
২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং তাঁর প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি, লেখক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গীতিকার ও সঙ্গীতজ্ঞ। স্বাধীনচেতা এই মানুষটি সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবতার পক্ষে এবং সাম্রাজ্যবাদ ও নিপীড়ণের বিরুদ্ধে এক আপোষহীন সংগ্রামী পুরুষ ছিলেন। জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে তাঁর লেখনী ছিল সাহসী ও ক্ষুরধার। তিনি বাংলা সাহিত্যকে করেছেন সমৃদ্ধ ও কালজ্বয়ী। ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর নির্যাতন সত্বেও তাঁকে সত্য উচ্চারণ থেকে নিবৃত্ত করা যায়নি। রাজরোষে পড়েও সত্য ও সুন্দর সৃষ্টির মনোবাঞ্ছা থেকে তিনি কখনোই পিছপা হননি। তাঁর সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনাবিহীন। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তাঁর প্রধান পরিচয় তিনি একজন কবি। নির্বাক হওয়া পর্যন্ত সাহিত্য-চর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। তাঁর সাহিত্যে উচ্ছাস ও স্বত:স্ফূর্ততা এক অনন্য সৌন্দর্যময়তায় বিশিষ্ট শিল্পরুপ ধারণ করেছে। তিনি বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করেন। অন্তর্গত সুন্দরের প্রেরণাতেই তিনি অন্যায়, অবিচার ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধাচরণ করেছেন।
তাঁর লেখনি সকল স্বৈরাচারের জন্য আতঙ্ক হয়ে থাকবে। তিনি লিখেছেন ‘কৈরে কৈরে স্বৈরাচারী বৈরী এই বাংলার’? তাঁর কবিতা ও গানে মানবতা ও সাম্যের বাণী উচ্চারিত হয়েছে। তাঁর লেখনি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও যুদ্ধে ব্যাপক অনুপ্রেরণ যুগিয়েছিল। তিনিই উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। এছাড়াও তাঁর প্রকৃতি, মানবপ্রেম ও ভক্তিমূলক গান অনন্য বৈচিত্রময় সুর ও বাণীর সংমিশ্রণে এক অনবদ্য স্বপ্নিল পরিবেশ সৃষ্টি করে, যে গানের আবেদন চিরকালীন ও অবিনশ্বর।
তাঁর সৃষ্টিকর্ম আমাদেরকে চিরদিন স্বদেশ প্রেমে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আমি জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকল কর্মসূচির সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করছি।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
দ.ক.সওবর