➖
মনির সরকার, চুনারুঘাট প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি)-এর উদ্যোগে সীমান্ত এলাকায় বাল্লা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অবৈধ সীমান্ত পারাপার, সীমান্ত অপরাধ, চোরাচালন ও মাদক পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়।
রবিবার (২৩ মার্চ) বাল্লা,মাঠে একসভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কর্ণেল এ এইচ এম ইয়াসীন চৌধুরী, পিএইচডি, সেক্টর কমান্ডার, শ্রীমঙ্গল সেক্টর এবং বিশেষ অতিথি লেঃ কর্ণেল মোঃ তানজিলুর রহমান, অধিনায়ক হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি), স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্ধ, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, শিক্ষক, ইমাম, স্থানীয় জনসাধারণ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সেক্টর কমান্ডার, শ্রীমঙ্গল বলেন, “বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দেশের ভৌগলিক সীমানা সুরক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সীমান্তে নিরবচ্ছিন্ন টহল কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আমরা অবৈধ সীমান্ত পারাপার, চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধ করছি। মাদকদ্রব্য চোরাচালান রোধে বিজিবি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে কাজ করছে। তবে এই কাজে সফল হতে সকল স্তরের জনসাধারণের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরী।
সেক্টর কমান্ডার আরও জানান, ৫৫ বিজিবি’র অধীনস্থ প্রতিটি বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) এ নিয়োজিত বিজিবি’র টহল দল দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সীমান্তে টহল দিচ্ছে। সীমান্ত সুরক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ বিজিবিকে সহযোগিতা করলে অবৈধ সীমান্ত পারাপার, মাদক চোরাচালান রোধসহ সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা আরও সহজ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ধর্মীয় উপাসনালয় যেমন মসজিদ, মন্দির এবং অন্যান্য ধর্মীয় স্থানে ইমাম, পুরোহিত এবং ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, তাঁরা যেন তাঁদের ধর্মীয় ভাষণে অবৈধ সীমান্ত পারাপার, মাদকদ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব ও চোরাচালানের বিপদ সম্পর্কে আলোচনা করেন। আলোচনায় স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং চা বাগান ম্যানেজারদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। বিজিবি’র পক্ষ থেকে তাঁদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, তাঁরা যেন সীমান্তবর্তী জনগণকে সচেতন করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
অধিনায়ক, হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) বলেন, “বিজিবি কর্তৃক আয়োজিত এই জনসচেতনামূলক সভার মাধ্যমে সীমান্তের জনসাধারণকে সচেতন করে গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, বিজিবি সীমান্তে টহল তৎপরতার মাধ্যমে সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী ও শিশু পাচার এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রম অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমরা সবসময় জনসাধারণের পাশে আছি এবং জনসাধারনের মতামতকে সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দিয়ে যাবো।
পরিশেষে সেক্টর কমান্ডার বলেন, “মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সন্তানদের শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধূলায় সম্পৃক্ত করে তাঁদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে হবে।
আসুন, সবাই মিলে মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি এবং দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করি।
দ.ক.সিআর.২৫