1. live@kaalnetro.com : Bertemu : কালনেত্র
  2. info@www.kaalnetro.com : দৈনিক কালনেত্র :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
যবিপ্রবি গবেষকের ন্যানো ইউরিয়া সার উদ্ভাবন চুনারুঘাটে ডা: নুরুল ইসলাম স্মরণে পদক্ষেপ গণপাঠাগারের স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত চুনারুঘাটে পদক্ষেপ গণ পাঠাগারের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালন মাধবপুরে মাদ্রাসা ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু মহান মে দিবস: শ্রমজীবী মানুষের অধিকার-দাবি আদায়ের দিন আমার দেশ এর সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে মানববন্ধন হবিগঞ্জের হাওরে ধানের বাম্পার ফলন দাম নিয়ে শংকিত কৃষক! সারা দেশে এলজিইডির কাজে দুদকের অভিযান- কালনেত্র ক্লিনটেক: পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির পথচলা ও ভবিষ্যৎ চুনারুঘাটে খাল খননে জনতার বাঁধা, পরিদর্শনে ইউএনও, তোপের মুখে ইউপি চেয়ারম্যান

শব্দকথা প্রকাশ করেছে কথাসাহিত্যিক আয়েশা আহমেদের “তমসা ঘেরা পথ”

দৈনিক কালনেত্র
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে
ড. সুভাষ চন্দ্র দেব
বৃটেন প্রবাসী কবি ও কথাসাহিত্যিক আয়েশা আহমেদ এর “তমসা ঘেরা পথ” উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়েছে শব্দকথা প্রকাশন থেকে।
কবি ও কথাসাহিত্যিক আয়েশা আহমেদ ইতোমধ্যেই তাঁর প্রকাশিত বেশকিছু উপন্যাস এবং কাব্যগ্রন্থ দিয়ে পাঠক হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তাঁর সাহিত্যের উপকরণ মূলত সমাজের নিত্যদিনের চালচিত্র যেখানে খুব সহজেই পাঠক নিজেকে একটা চরিত্র হিসেবে খোঁজে পান; ফলে লেখাটি হয়ে উঠে প্রাণবন্ত। তিনি বরাবরই সাহিত্যকে মনোজগতে নাড়া দেয়ার মতো সহজ সরল পাঠে উপস্থাপন করেন যা পাঠকের কাছে মনে হয় প্রাত্যহিক জীবনেরই এক প্রতিচ্ছবি।
আলোচ্য উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মৃদুলাকে আমরা দেখি শিক্ষিত, আত্মপ্রত্যয়ী এবং সচেতন মহিলা কিন্তু দিনশেষে তিনিও সংসারে মেনে নেয়া এবং মানিয়ে নেয়া এক বাঙ্গালি নারী চরিত্র, যিনি আমাদের চারপাশের হাজারো অলিখিত গল্পের নারী। আর দশটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মতোই মৃদুলার পিতা সুবিধামতো পাত্র পেয়ে বিশ বছরের বড়ো রাহাতের হাতে সঁপে দিয়ে দায়মুক্ত হতে পেরেছেন। স্বামী রাহাতের হাত ধরে একসময় ইংল্যান্ডে পাড়ি জমালেও রাহাতের শিক্ষা আর সচেতনতা মৃদুলার মনস্তত্ত্বকে বুঝতে পারেনি। ফলে রাহাতের নির্লিপ্ততা মৃদুলার হৃদয়ে আঘাত দিলেও সেটি অপ্রকাশিতই থেকে যায়, বরং একসময় তিনি সন্তানদের ঘিরেই জীবনের গতিপথ খোঁজে পান।
উপন্যাসের পুরোটা জুড়েই মৃদুলার জীবন পথের নানা বাকে নতুন চরিত্রের আগমন দেখা যায়। একসময় আনজুমানের সাথে মৃদুলার পরিচয় ঘটে এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এই বন্ধন অটুট ছিলো। মৃদুলাকে কেন্দ্র করে যে পারিপার্শ্বিক চরিত্রগুলোকে আমরা দেখি তারাও এই সমাজেরই একেক জন, ফলে পুরো গল্পে কোনো ছেদ পড়েনা বরং মনে হয় এ যেনো আমাদেরই পরিচিত কারো জীবননাট্য।
কথাসাহিত্যিক আয়েশা আহমেদ উপন্যাসের শুরুটা করেছেন বেশ নাটকীয় ভাবে । মৃদুলার সাথে পার্কের বেঞ্চে ইংরেজ মহিলা কেইট এর কথোপকথন দিয়ে শুরু হলেও গল্প এগোয় জীবনের মতোই অচেনা পথে, যেখানে আছে কখনোবা গতানুগতিকতা আর কখনো নিয়তির কাছে অবশ্যম্ভাবী আত্মসমর্পন; ফলে একঘেয়েমির সুযোগ থাকেনা। এজন্যই পাঠক গল্পে আটকে থাকেন ‘এর পরে কী হয়’ দেখার জন্য। এখানেই লেখিকার সার্থকতা।
বইটির কভার ডিজাইন, বাইন্ডিং এবং মুদ্রণ এক কথায় চমৎকার। আমি আশা করছি বইটি বহুল পঠিত ও পাঠক প্রিয় হবে। জীবনের বৈচিত্র্যময়তা আর নান্দনিকতাকে সহজপাঠে বুঝতে বইটি হতে পারে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। পাঠক, লেখক এবং প্রকাশক সকলের জন্য শুভকামনা।
অমর একুশে বইমেলার স্টল নং ১৭১, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শব্দকথা প্রকাশনের স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© 𝐰𝐰𝐰.𝐤𝐚𝐚𝐥𝐧𝐞𝐭𝐫𝐨.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট