➖
চুনারুঘাট প্রতিনিধি◾
অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কালেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তার শাস্তি ও অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার স্থানীয় জনতা। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম আব্দুর রহমান।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় সেখানকার ছাত্র/ছাত্রীরা এমনিতেই অনেক অবহেলিত। তার উপর শিক্ষকরাও অভিভাবকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম করে যাচ্ছেন। এতে প্রতিবাদী হয়ে উঠেন স্হানীয় জনগণ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উক্ত স্কুলের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমান বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় লেখাপড়ার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আর এতে অভিভাবকগনও সন্তুষ্ট হন। কিন্তু কালেঙ্গা প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমান যোগদানের পর থেকেই ক্যামেরায় ক্লাস করতে অপছন্দ করা শুরু করেন। সিসি ক্যামেরা থাকায় ক্লাশ ফাঁকি দিতে পারেন না বিধায় ক্যামেরা খোলার জন্য তাল বাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ে গ্রুফিং শুরু করেন এবং একটি কুচক্রী মহলকে হাত করে ক্যামেরা সরিয়ে ফেলতে উঠে পড়ে লাগেন। আর এর কারণ হিসাবে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক চুনারুঘাট বাজার থেকে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতেন। কিন্তু চুনারুঘাট থেকে স্কুলের দুরত্ব বেশি হওয়ায় তিনি সঠিক সময়ে স্কুলে না পৌছে নিজের মন মতো যাওয়া আসা করতেন। ক্যামেরা থাকলে স্কুলে আসা যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ার আশংকা থেকে তিনি সেটি সরানোর জন্য উঠে পড়ে লাগেন। আর এ বিষয়টি সচেতন মহল জানতে পেরে শিক্ষক আব্দুর রহমানের অনিয়মের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখ যে, শিক্ষক আব্দুর রহমান বাহুবলের কালীগজিয়া স্কুলের চাকুরীর শুরুতে ধর্ষন মামলায় ৩ বছর জেল খাটেন। এবং পাঁচ বছর চাকুরিচ্যুত ছিলেন। পরে আফসের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করেন।
এছাড়াও সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে বিদ্যালয় ও অত্র এলাকায় প্রভাব দেখিয়ে আসছেন তিনি। তবে বিদ্যালয় যাতে ক্ষমতা প্রদর্শণ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েছেন ওই এলাকার সচেতন মহল।
দ.ক.সিআর.২৪