➖
কালনেত্র প্রতিনিধি◾
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের কয়েকটি সীমান্ত প্রবেশপথ দিয়ে ব্যাপকহারে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে ভারতীয় বিভিন্নরকম মাদকসহ গরু। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় কারবারিরা রয়েছে সক্রিয়।
কতিপয় উপর মহলের আশীর্বাদপুষ্ট নেতারা এসব চোরাচালান সিন্ডিকেটের হোতা। মাদকসহ ভারতীয় নানান জাতের পণ্যের চোরাচালান ঠেকানো যাচ্ছে না চুনারুঘাটে।
ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে বিভিন্ন জাতের মাদক দ্রব্য, চোরাই চা পাতা, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত উপজেলার চিমটি বিল, বাল্লা, গুইবিল, গুটিবাড়ি, দুধপাতিল, মানিকবান্ডার, টেকেরঘাটসহ সীমান্ত পথে এসব পণ্য দেশে প্রবেশ করছে।
বিশেষ করে চোরাকারবারিরা মাদক নিয়ে আসছে বেশি। ওইসব মাদক গড ফাদারদের সহযোগীতায় এনে নানা কায়দায় তা পাচার করে চলেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর লোকজন সীমান্ত চোরাকারবারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে- দাবী করলেও বাস্তবতার সাথে এর কোন মিল নেই।
চোরাচালান চলছে- উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন আহম্মদাবাদ, গাজীপুর, দেওরগাছ ও পাইকপাড়া ইউনিয়নের কতিপয় ওপর মহলের আশীর্বাদপুষ্ট নেতা এসব চোরাচালান সিন্ডিকেটের হোতা।
মাদক ও চোরাচালানে ধংসের দ্বারপ্রান্তে চুনারুঘাট। চোরাকারবারিদের দমানো যাচ্ছে না। সাবেক পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি এসবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে কিছুটা স্ববস্তি দিয়ে ছিলেন।
তাছাড়া ডিবির ওসি নুরুল হক মামুনের নেতৃত্বেও উপজেলার চিমটি বিল এলাকায় বেশ কয়েকটি সফল অভিযান হয়েছিলো। এতে চোরাকারবারি, পাচারকারি, মটরসাইকেল, গরু এবং মাদকসহ ভারতীয় পণ্য তিনি জব্দ করেছিলেন তিনি।
এ ব্যাপারে বিজিবি শ্রীমঙ্গল সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ইয়াছিন চৌধুরী জানান, সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং চোরাচালান রোধে টহল জোরদার করা হয়েছে। সব ধরনের চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে নিয়মিত টহলও পরিচালনা করা হচ্ছে। বিজিবি নিয়মিত বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সহ ভারতীয় মালামালও জব্দ করে আসছে।
এলাকার সংশ্লিষ্টের মতে কারবারিদের সাথে প্রশাসনের রফাদফারও দাবি তুলেছেন এলাকা বাসি। আরও জানান, গেল আগষ্টের ৫ তারিখ সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে প্রশাসনের তেমন কোন ভুমিকা দেখা যাচ্ছে না সীমান্ত এলাকাগুলোতে।
এছাড়াও এলাকার কিছু পাতিনেতাদের সাথে কারবারিদের আনাগোনা বলেও দাবি করেন এলাকাবাসী।
দ.ক.সিআর.২৪