➖
হবিগঞ্জ চারুকলা একাডেমি মনে করে প্রতি মাসে শিশু-কিশোরদের ছবি আঁকার মেধার মূল্যায়ন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে তাদের সৃজনশীলতা, মানসিক বিকাশ এবং শিক্ষাগত অগ্রগতির একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
বিকাশের পর্যবেক্ষণ:
প্রতি মাসে মূল্যায়ন করার ফলে শিশুরা কীভাবে তাদের আঁকা শিখছে এবং তাদের শৈলী কীভাবে বদলাচ্ছে তা সহজেই বোঝা যায়।
সৃজনশীলতার উন্নতি:
নিয়মিত মূল্যায়ন শিশুদের সৃজনশীল চিন্তা এবং নতুন ধারণা গ্রহণ করতে উৎসাহিত করে। তারা নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে এবং ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে চিন্তা করতে শেখে।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি:
যখন শিশুরা দেখে যে তাদের কাজকে মূল্য দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের অগ্রগতি ট্র্যাক করা হচ্ছে, তখন তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। এটি তাদের অন্যান্য ক্ষেত্রেও ভালো করতে উৎসাহিত করে।
শিক্ষণ পদ্ধতি উন্নয়ন:
শিক্ষকরা শিশুদের কাজ পর্যবেক্ষণ করে তাদের শিক্ষণ পদ্ধতি আরও ভালোভাবে তৈরি করতে পারেন। এটি তাদের শিশুদের জন্য আরও কার্যকর শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা তৈরি করতে সাহায্য করে।
সমস্যা শনাক্তকরণ:
যদি কোনো শিশুর আঁকা কাজে কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে তা প্রথম দিকেই শনাক্ত করা যায় এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া যায়।
পিতামাতা এবং শিক্ষকের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি:
শিশুর আঁকা কাজ পিতামাতা এবং শিক্ষকের মধ্যে যোগাযোগের একটি ভালো মাধ্যম হতে পারে। এটি তাদের শিশুর বিকাশ সম্পর্কে একসঙ্গে কাজ করতে সাহায্য করে।
শিশুর আবেগ এবং মনোভাব বোঝা:
শিশুদের আঁকা কাজ প্রায়ই তাদের আবেগ এবং মনোভাব প্রকাশ করে। এটি শিক্ষক এবং পিতামাতাকে শিশুর মনোজগৎ বুঝতে সাহায্য করে।
সার্বিকভাবে, প্রতি মাসে শিশু- কিশোরদের ছবি আঁকার মেধার মূল্যায়ন তাদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী পদক্ষেপ।
দ.ক.সিআর.২৪