মতামত◾
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বর্তমান চিত্র অত্যন্ত হতাশাজনক।
আন্দোলনে আহত হাজার হাজার ছাত্র-জনতা যখন বিনা চিকিৎসায় চোখ হারাচ্ছে, বিনা চিকিৎসায় মরছে, আর কেউ কেউ এমনকি সন্তান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে চিকিৎসার খরচ জোগানোর জন্য, তখন আন্দোলনের সমন্বয়করা দামি গাড়িতে ফটোশুটে ব্যস্ত। এদের মাঝে কেউ কেউ নিজেকে হিরো মনে করছেন, ভুলে গেছেন আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।
বছরের পর বছর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা প্রাণপণ লড়াই করছে, তাদের অবজ্ঞা করে এই সমন্বয়করা নিজেদের মঞ্চ তৈরি করছে। অথচ তাদের মনে রাখা উচিত, স্বাধীনতার জন্য যেসব বিপ্লবীরা রাস্তা গরম করেছে, তারা আজো সংগ্রাম করছে। পিনাকী ভট্টাচার্য আর ইলিয়াস হোসেনদের মতো মানুষগুলো এই আন্দোলনকে মজবুত করার জন্য নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে। তাদের পশুশ্রম পন্ডু হতে বসেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্য যদি আদৌ সফল করতে হয়, তাহলে নেতৃত্বের ভেতরকার এই অদ্ভুত অহমিকা আর সুবিধাবাদী আচরণ বন্ধ করতে হবে। আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে হলে মাঠে থেকে, সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েই দিতে হবে, ফটোশুট করে নয়। নয়তু হেনস্থার শিকার আরও চরম আকার ধারণ করতে পারে!
উল্লেখ্য যে, গতকাল ১২ আগস্ট হবিগঞ্জে ডাকা সম্বনয়কদের সভা সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা প্রত্যাখান করেছে। হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। যেকারণে কেন্দ্র ঘোষিত সভাস্থল পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় বৈষম্য বিরোধী কমিটি।
নাজমুল রনি
সফটওয়ার ডেভলপার, কালনেত্র
ক_
সিআর-২৪