
সাদিকুর রহমান: মহিলা মাদরাসার মেয়েরা পরিবেশগত কারণে স্কুল-কলেজের মেয়েদের তুলনায় কম চালু ও অপরিপক্ব হয়ে থাকে। ঘর ও মাদরাসার বাইরের জগৎ সম্পর্কে তাদের জানাশোনাও সীমিত। অনেক মেয়ে আছে, মাঝপথে ছেড়ে দিলে নিজের ঘরেও ঠিকটাক মতো ফিরতে পারবে না।
এই অপরিপক্ব ও সহজ-সরল মেয়েরা আলোচিত বাহিনীর প্রধান টার্গেট। গাজীপুরসহ সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনাই এই আশঙ্কাকে জোরালো করে।
চলতি বছর শুধু সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায় বহু মাদরাসাছাত্রী অপহরণের শিকার হয়েছে। অনেক পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনাগুলো গোপন রেখেছে— একান্ত ঘনিষ্ঠজন ও অনুসন্ধানের প্রয়োজন ছাড়া কাউকে শেয়ার করেনি।
এসব মেয়েদেরকে উদ্ধারের পর তথ্য নিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ অপহৃতা ফেসবুকের “বান্ধবীর” (আসলে ছদ্মবেশী ছেলেদের ফেইক আইডি) সঙ্গে দেখা করতে বের হয়ে প্রতারণা ও অপহরণের শিকার হয়েছেন।
ফেসবুকে বহু দ্বীনি গ্রুপ রয়েছে, যেখানে মাদরাসা শিক্ষিত ও দ্বিনদার মেয়েরা যুক্ত হয়ে থাকেন। ছেলেরা মেয়েদের পরিচয়ে এসব গ্রুপে প্রবেশ করে সহজ-সরল মেয়েদের টার্গেট করে এবং সুযোগ পেলে তাদেরকে প্রতারণা, ব্ল্যাকমেইল বা অপহরণের ফাঁদে ফেলে।
তাই মেয়েদেরকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ঝুঁকি ও প্রতারণার কৌশল সম্পর্কে সচেতন করা খুবই জরুরি।
মেয়েদেরকে পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সাইবার সচেতন না করলে— আলোচিত বাহিনীর হাত থেকে মেয়েদেরকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পরবে।
লিখেছেন: সাদিকুর রাহমান
শিক্ষক, প্রাবন্ধিক, সংগঠক ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা
দ.ক.সিআর.২৫