
.
তপন দেববর্মা: সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের সংস্পর্শে বানর। বানর পরিবার বা বানরের দলগুলোর কি এতে ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ? এটার (খাবার খাওয়ানো) অভ্যস্ততা কি বন্যপ্রাণীদের জন্য উচিত বা কতটুকু বন্যপ্রাণী বান্ধব? তাঁদের খাদ্যাভাস শৃংখল পরিবর্তন ঝুকি এবং এতদসাপেক্ষ এইসকল মনুষ্য সৃষ্টি উশৃঙ্খল বিনোদন এড়াতে বন্যপ্রানী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ কতটুকু সচেতন? এসকল প্রশ্ন এখন সকলের কাছেই।
অনেক প্রানীকুলের মতোই সাতছড়িতে বানরের অস্থিত্ত্ব বিদ্যমান। প্রতিটা বানরের আবার আইডেনটিটি রয়েছে। মানুষের মতোই তাদের পরিবার ব্যবস্থা, সমাজ ব্যবস্থা, বনের ভেতর অঞ্চল বিভেদ রেখে বসবাস। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের অগভির এলাকা বনের মধ্য ৪ থেকে ৫টি বানর পরিবার বসবাস বিদ্যমান। মূলত সবুজ পাতা, বন্য ফুল-ফল, মৌসুমি বন্যফল তাদের সাধারন খাবার ছিল। মানুষের সংস্পর্শে তারা কখনোই ছিল না। নির্দিষ্ট দূরত্ত্ব বজায় রাখত মানুষের সাথে। বিশেষ করে একসময় পর্যটকরা বানর খুজত, দেখা মিলত না।
কিন্তু ক্রমান্বয়ে বানরের দল এখন পার্ক এলাকার ভিতর সংমিশ্রিত হচ্ছে। আর পর্যটকরা হুমরি খেয়ে বানর গুলোকে খাবার ছুরে দিচ্ছে, বিশেষকরে ড্রাইফুড, বনরুটি, চানাচুর, ঝালমুড়ি, কেক, বিস্কুট ইত্যাদি। মনুষ্যগত ভাবের ধারকরা ভূলে যায় , এটি চিড়িয়াখানা নয়। ওরা উন্মুক্ত ও স্বাধীন প্রানী। কিন্তু দুঃখজনক, এগুলোর দেখার কেউ নেই।
বানর প্রজাতি এখন দোটানা খাদ্যভাস প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত করছে। সাময়িক বিনোদন , খাবার ছূড়া মত বিনোদন দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। কারণ বনের প্রাকৃতিক খাবারে তারা বিমুখ ও অনভ্যস্ত হতে চলছে। আর বন্যপ্রানীর মত বিভিন্ন রোগ-জীবানু ছড়ানোর সম্ভাবনা ও উড়িয়ে দেওয়ার মতো না। তাছাড়া স্থানীয় বন্য কৃষির ক্ষতি বানরের দ্বারা অতি মাত্রাত্রিক ভাবে বেড়ে চলছে!
বন্যপ্রানী ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগকে এতদসবিস্তার বিষয়ে আমলে নিয়ে, বানরের খাদ্যাশৃংখলকে প্রকৃতি নির্ভর করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। আর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পর্যটন সহায়ক ও বন্যপ্রানী সহায়ক ক্যাম্পেইন চালু করার পরামর্শ রইল।
বিশেষ বার্তাঃ বনে খাবারের অভাবে লোকালয়ে খাবারের সন্ধানে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বানর। এসকল বার্তা সম্পূর্ন অদক্ষ সাংবাদিকদের পরিবেশনা।এছাড়া আর কিছুই হতে পারে না!
দ.ক.সিআর.২৫