
চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সেক্রেটারি বাবু যুবরাজ ঝরা মৃত্যুবরণ করেছেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।তিনি স্ত্রী দুই পুত্র সন্তান সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর(বুধবার রাত সাড়ে আটটায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন)তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে চা শ্রমিকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।আজ আমু চা বাগান বন্ধ করে শোক পালন করছেন শ্রমিকরা।
(৯ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় আমু চা বাগান খেলার মাঠের পাশে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট আমিনুল ইসলাম, আমু চা বাগানের ব্যবস্থাপক সালেক মাহমুদ, চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাবু নৃপেন পাল,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও চা শ্রমিক কন্যা খাইরুন আক্তার, আহম্মবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশ ও সাবেক প্রধান শিক্ষক রানা প্রসাদ ঘোষ সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
দুইবার আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে জয়ী হতে পারেন নি।যুবরাজ যারা ছিলেন লস্করপুর ভ্যালী তথা সারা বাংলাদেশের চা শ্রমিকদের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর।সারা বাংলাদেশের চা শ্রমিকরা এক নামে চিনতেন।শুধুমাত্র চা বাগান নয় চুনারুঘাট উপজেলার প্রতিটি এলাকায় তিনি পরিচিত ছিলেন।হবিগঞ্জ জেলায় এমন কোন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নেই যারা চা শ্রমিক নেতা যুবরাজ কে চেনেন না।চা শ্রমিকদের মাঝে ন্যায় বিচারক হিসেবে তিনি পরিচিত।
দ.ক.সিআর.২৫