1. live@kaalnetro.com : Bertemu : কালনেত্র
  2. info@www.kaalnetro.com : দৈনিক কালনেত্র :
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
হবিগঞ্জে নবাগত পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুনের যোগদান চুনারুঘাট প্রেসক্লাবে মিথ্যাচারের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন মাধবপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু লাখাইয়ে ২০-২৫ জন প্রতিবন্ধী ভাতা বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে হবিগঞ্জে বিজিবির হাতে ভারতীয় ইস্কফ সিরাপসহ এক জন আটক লাখাইয়ে নির্মাণের ২ মাসেই বেহাল, পাকা রাস্তা এখন জনদুর্ভোগের প্রতীক  স্কুলে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা! প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি অনলাইন জুয়ায় আসক্তি: ফায়ার সার্ভিস কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার  লাখাইয়ে কাইঞ্জা বিলে ইজারাদারের নৌকায় আগুন ও হামলা আহত ৬ মিরাশিতে বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ

চুনারুঘাটে থানার সামনেই অফিস খুলে বসে আছেন আওমীলীগ নেতা কালাম

দৈনিক কালনেত্র
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫

 

চুনারুঘাট প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ফ্যাস্টিস আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট নেতা যখন পালিয়ে গেছেন, তখনও দলের দপ্তর সম্পাদক পদ আঁকড়ে ধরে আছেন আবুল কালাম আজাদ। তিনি এখনও নির্ভয়ে চুনারুঘাট থানার সামনেই অফিস খুলে বসে আছেন।

একটি সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আবুল কালাম আজাদ সাবেক পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর আদরের দপ্তর সম্পাদক হয়ে দ্রুত প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন। এর সুযোগে প্রথমে স্ত্রীর জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন, পরে থানার মার্কেটের একটি ঘর অবৈধভাবে দখল নেন।

তদন্তে আরও বেরিয়ে আসে, দীর্ঘ এক যুগ ধরে দলীয় পদ ব্যবহার করে তিনি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতির পদ আঁকড়ে রেখেছেন। ওই পদকে কাজে লাগিয়ে বনভূমি থেকে শুরু হয় তার লুটপাট। অভিযোগ রয়েছে, তিনি দলের আরও কিছু নেতা-কর্মীকে নিয়ে গড়ে তোলেন একটি গাছ পাচার সিন্ডিকেট, যার ফলে উদ্যানে উজাড় হয়ে যায় বহু মূল্যবান গাছ। শুধু তাই নয়, পরে তার নজর পড়ে উদ্যানসংলগ্ন সিলিকা বালুর ওপর। এতে ধ্বংস হয় সাতটি পাহাড়ি চূড়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ কর্মী জানান, “আবুল কালাম আজাদের এই অপকর্মে সরাসরি মদদ দিতেন সাবেক মন্ত্রী মাহবুব আলী ও তার পিএস বেলাল মিয়া। কালামের কোটি কোটি টাকার বানিজ্যের একটি অংশ নিয়মিত যেত মিন্টু রোডের মন্ত্রীর বাসভবনে। আর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামি আন্দোলনসহ যারা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া ও পরিকল্পনা করা হতো কালামের থানা রোডে ব্যক্তিগত অফিসে বসে।”

অন্যদিকে, ইসলামী দলের সাথে যুক্ত চুনারুঘাটের এক বিশিষ্ট আলেম বলেন, “আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে গত ১৫ বছর ধরে আমাদের সমাজের আলেমদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছে। কোনো শান্তিপূর্ণ আয়োজন থাকলেই সে জামায়াতের তকমা দিয়ে পুলিশকে লেলিয়ে দিত। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এখনও সে দাপটের সাথে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে—এখন তাকে মদদ দিচ্ছেন কে?”

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কালাম নিজ উদ্যোগে সেখানে একটি মার্কেট নির্মাণ শুরু করেছিলেন। স্থানীয় আদিবাসীদের প্রতিবাদের মুখে কাজ বেশ কিছুটা এগোলেও শেষ পর্যন্ত তা বন্ধ হয়ে যায়।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, “সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি ও সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে আবুল কালাম আজাদ নানা অনিয়মে জড়িত ছিলেন। মার্কেট নির্মাণের সময় আমরা বাধা দিয়েছিলাম। সেই কারণেই কাজ অসমাপ্ত রয়ে যায়।”

দ.ক.সিআর.২৫

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© 𝐰𝐰𝐰.𝐤𝐚𝐚𝐥𝐧𝐞𝐭𝐫𝐨.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট