আহমেদ ফারুক লিপু: বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-স্হানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার শুধু একজন বর্ণাঢ্য রাজনীতিবিদই নন, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মেয়ে সমতুল্য আস্থাভাজন নেত্রীও।
উল্লেখ্য যে, যখন ওয়ান ইলেভেনের ভয়াল থাবায় বিপর্যস্ত বিএনপির রাজনীতি, যখন খালেদা জিয়ার দুই সন্তান তারেক রহমান ও আরাফাত খোকুর উপর নেমে এসেছিল বর্বরোচিত নির্যাতন, তখনও দেশ এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে পাতানো নির্বাচন জেনেও বেগম খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই নির্বাচনে দলীয় পরাজয়ের পর সংসদে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম জিয়ার নেতৃত্বে যে সাংসদরা সংসদে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক ছাত্রী শাম্মী আক্তার, যিনি বেগম জিয়ার আস্থাভাজন হিসেবে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বেগম জিয়া দুই পুত্রসন্তানের জননী, কোনো কন্যাসন্তান উনার নেই, কিন্তু শাম্মী আক্তার নিজ যোগ্যতা, দলের প্রতি আনুগত্য এবং রাজপথের সাহস দিয়ে মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং দেশনেত্রীর সঙ্গী হয়ে সংসদে প্রবেশ করেন। পাশাপাশি দেশনেত্রীর স্নেহধন্য মেয়ের স্থানে জায়গা করে নেন।
এছাড়া রাজনীতির মাঠে শাম্মী আক্তারকে অগ্নিকন্যা বলা হয়। কারণ ২০০৮ সালের সংসদে বেগম জিয়ার সঙ্গী হয়ে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চোখে চোখ রেখে সংসদীয় বক্তব্যে হাসিনাকে খুনি লুটেরা দুর্নীতিবাজ মাফিয়া বলতে শাম্মী আক্তার বিন্দুপরিমাণ ভয় অথবা দ্বিধা বোধ করেননি। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের আতঙ্ক কুখ্যাত ডিবি হারুণ এবং বিপ্লব যখন সংসদ লবিতে তৎকালীন সংসদের প্রধান বিরোধী দলীয় হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুককে প্রকাশ্যে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করছিল তখন শাম্মী আক্তার হুইপকে তাদের প্রাণঘাতী আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য মানব ঢাল হিসেবে নিজেকে দাড় করেন। পরবর্তীতে খুনি হাসিনার নির্দেশে শাম্মী আক্তারকে রাজপথ থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে চলন্ত পুলিশ ভ্যান থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়! আবার সেই অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বিনা চিকিৎসায় বন্দী রাখা হয়! পরবর্তীতে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসকদের মাধ্যমে জানতে পারেন তিনি মারাত্মক ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই থেকে অদ্যাবধি শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই বিগত ১৬ বছর গণতন্ত্র এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে সরব আছেন তিনি।
সম্মানিত চুনারুঘাট-মাধবপুর উপজেলাবাসী, ইনশাআল্লাহ বেগম জিয়ার স্নেহধন্য নেত্রী শাম্মী আক্তার আগামী জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আপনাদের সামনে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন। আপনাদের মুল্যবান ভোট এবং সুচিন্তিত রায়ের মাধ্যমে হবিগঞ্জ-৪ তথা চুনারুঘাট মাধবপুর উপজেলার গণমানুষ পেতে পারে বেগম জিয়ার প্রতিনিধি। আপনাদের রায় পেলে চুনারুঘাট মাধবপুরের কাঙ্খিত উন্নয়ন, সুশাসন এবং গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবেন।
আসুন, দেশ এবং জনগণের কল্যাণে শাম্মী আক্তারের হাতকে শক্তিশালী করি।
আহ্বানে- আহমেদ ফারুক লিপু, সাবেক ছাত্রদল নেতা, ক্রীড়া সংগঠক ও ইতালি প্রবাসি
দ.ক.সিআর.২৫