ডেস্ক রিপোর্ট: বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের অধীনে থাকা রাবার শিল্পে ব্যক্তিখাতের উৎপাদন ভাল হলেও তলানীতে সরকারি মালিকানায় থাকা বাগানগুলোতে। যদিও বাড়ছে পণ্যটির রপ্তানি। এই খাতের উন্নয়নে একগুচ্ছ সুপারিশ দিয়েছে সংস্থাটি।
দরকারি পণ্য হিসেবে দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে রাবারের। যার বড় একটা অংশ উৎপাদিত হয় পাহাড়ি এলাকায়। সরকারি হিসেবে, দেশে এ রকম আবাদি জমি প্রায় দেড় লাখ একর। যার মধ্যে সরকারি মালিকানায় আছে ৩৭ হাজার। তবে, ব্যক্তি মালিকানাধীন বাগান থেকে উৎপাদনের হার বেশি হলেও পিছিয়ে সরকারি বাগান। যা উঠে এসেছে ট্যারিফ কমিশনের এক প্রতিবেদনে।
কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, গাছের বয়স বেশি হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় আহরণ হচ্ছে না। তাই, উচ্চ উৎপাদনশীল রাবার গাছের ক্লোন আমদানির উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান তিনি।
ট্যারিফ কমিশনের তথ্যমতে, দেশে রাবারের উৎপাদন কম-বেশি ৭০ হাজার টন। যার সিংহভাগই আসে বেসরকারি খাত থেকে। তবে, চাহিদা মেটাতে পণ্যটি আমদানি করা হলেও দুই বছরে তার রপ্তানি বেড়েছে তিনগুণ। সবশেষ অর্থবছরের মে পর্যন্ত এগারো মাসে যা ছিল ৭৬ লাখ ডলার। এমন বাস্তবতায় এই শিল্পকে উৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ট্যারিফ কমিশন।
ট্যারিফ কমিশনের তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাবার বা রাবার শিটের আমদানি পরিমাণ ৫৩ শতাংশ কমলেও গত অর্থবছরের মে পর্যন্ত বেড়েছে ৩২ শতাংশ।
দ.ক.সিআর.২৫