1. live@kaalnetro.com : Bertemu : কালনেত্র
  2. info@www.kaalnetro.com : দৈনিক কালনেত্র :
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
মাধবপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি ফয়েজ গ্রেফতার বাহুবলে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান তিস্তার ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত ৭৬ পরিবার পেলো ত্রাণ ও নগদ সহায়তা বরগুনায় ‘ন্যায়কুঞ্জ’-এর শুভ উদ্বোধন করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি জে.বি.এম. হাসান চুনারুঘাটের গাজীপুর ইউনিয়নে ফ্রি ভেটেনারি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত মাধবপুরে নারিকেলকাণ্ডে আলোচনায় শিক্ষা কর্মকর্তা, সমালোচনার ঝড় চা শ্রমিক নেতা যুবরাজ ঝরা’র মৃত্যু ; বাগান বন্ধ একদিনের শোক পালন যুবরাজ ঝরা ছিলেন আহম্মদাবাদের একজন সমৃদ্ধ রাজনৈতিক বকশীগঞ্জে পুলিশের উপর হামলা: মাদক কারবারি লিটনসহ গ্রেফতার ৩ লাখাইয়ের পুর্ব বুল্লা ফুটবল একাদশের জার্সি উন্মোচন 

চুনারুঘাটে শিক্ষার্থীদের হাতে-হাতে মোবাইল ফোন, জড়াচ্ছে সাইবার অপরাধে!

দৈনিক কালনেত্র
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

 

কালনেত্র প্রতিবেদন:

‘বই হচ্ছে মস্তিষ্কের সন্তান’, এক বিখ্যাত মনীষীর উক্তি এটি। তবে বহমান সময়ে শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্ক থেকে মুছতে বসেছে বইয়ের স্মৃতি। সেখানে খেলে বেড়াচ্ছে অনলাইনের নানা রং-ঢং। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে স্মার্টফোনে বুঁদ হয়ে আছে কিশোর-তরুণ শিক্ষার্থী। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ৮ম থেকে ১০ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাতে-হাতে মোবাইল ফোন। তাদের কেউ কেউ শিষ্টাচার-সামাজিকতার পাট চুকিয়ে ঢুকে পড়েছে সাইবার অপরাধে। কেউ অনলাইন গেমসে মত্ত, কেউ আবার অশ্লীলতার ঘোরে।

জানা যায়, চুনারুঘাটের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসার সময় লুকিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে আসে। বইয়ের ব্যাগের ভিতর শব্দহীন করে মোবাইল ফোনগুলো রেখে দেয়। সুযোগ পেলেই তারা এগুলোর অবাধ ব্যবহার শুরু করে। এখানকার খুব কম শিক্ষার্থীই পাঠগ্রহণের জন্য ফোন ব্যবহার করছে। স্থানীয় অনেক বিদ্যালয়ে মোবাইল ফোনের সাইবার অপরাধের কারণে সংশ্লিষ্ঠ শিক্ষকদের বিব্রত হতে হচ্ছে। প্রবাসীবহুল এলাকা হওয়ায় চুনারঘাটের অভিভাবকরা পরিবারের ক্ষুদে সদস্যের বায়না মেটাতে মোবাইল ফোন প্রদান করেন। সেই ফোনে তারা পড়াশোনার বদলে গেম বা ইন্টারনেটভিত্তিক ক্ষতিকর অ্যাপগুলোতে আসক্ত হয়ে পড়েছে। স্কুলের মধ্যাহ্ন বিরতির সময় ফোন নিয়ে তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। কেউ আবার ক্লাস ফাঁকি দিয়ে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কঠোর নজরদারীর পরও ফোন আসক্তি থেকে শিক্ষার্থীদের সরানো যাচ্ছেনা।

একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ফারিহা (আসল নাম নয়)। অলস সময়ের সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয় মায়ের স্মার্টফোনটি। আঙুলের স্ক্রলে সে জানতে পারে ইন্টারনেটভিত্তিক নানা অ্যাপের কথা। কয়েক দিনের মধ্যেই যুক্ত হয়ে যায় টিকটকে। এখন সে নিয়মিত টিকটকার। আছে ফ্যান-ফলোয়ার। প্রায় প্রতিদিনই তাকে টিকটকের জন্য ভিডিও বানাতে হয়। এ জন্য লাগে নানা আইডিয়া। অভিনয় আরো কত ভালো করা যায়, এ নিয়েই ফারিহাকে ভাবতে হয় সারাক্ষণ। পড়াশোনায় আর মন বসে না তার। মেয়েটির মা বলেন, যখন ফারিহার হাতে মোবাইল ফোন দেওয়া হয়, তখন চিন্তাই করা যায়নি একদিন সে টিকটকে এতটা আসক্ত হয়ে উঠবে। এখন তাকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক বুঝিয়েও তাকে পড়ার টেবিলে বসানো যায় না। মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে। মায়ের কথা পর্যন্ত মানতে চায় না। ফারিহার মতো চুনারুঘাটের হাজারো শিক্ষার্থী এখন অনলাইনে আসক্ত।

রাজার বাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়তে পারে। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে তাদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি আসক্তি দেখা যেতে পারে।অনলাইন গেমস এবং অন্যান্য ক্ষতিকর অ্যাপসের প্রতিও তারা আসক্ত হতে পারে।

আরেক শিক্ষক জানান, শারীরিক স্বাস্থ্যের উপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যেমন চোখের সমস্যা, বসার ভঙ্গিতে পরিবর্তন ইত্যাদি। কিছু ক্ষেত্রে, শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আপত্তিকর বা অশালীন বিষয়বস্তুর সংস্পর্শে আসতে পারে।

দ.ক.সিআর.২৫

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© 𝐰𝐰𝐰.𝐤𝐚𝐚𝐥𝐧𝐞𝐭𝐫𝐨.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট