জুবায়ের আহমেদ, লাখাই প্রতিনিধি:
লাখাইয়ে প্রথম বারের মতো জৈব সার ট্রাইকোকম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু হয়েছে।
উপজেলার ৫ নং করাব ইউনিয়ন এর পূর্ব সিংহগ্রাম এর উদ্যোক্তা কৃষক মোহাম্মদ বাহার উদ্দিন নিজের উদ্যোগে এ জৈব সার ট্রাইকোকম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার বুল্লাবাজার সংলগ্ন বাড়ি তে এ ট্রাইকোকম্পোস্ট উৎপাদন এর লক্ষ্যে বিভিন্ন জৈব উপাদান এর সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন।উপাদানের মধ্যে রয়েছে গোবর,কাঠের গুড়া,খৈল,চিটাগুড়, চায়ের ফেলে দেওয়া পাতা,দেশী মুরগীর বিষ্ঠা,দেশী নিমপাতা,কচুরিপানা, ট্রাইকোডার্মা পাউডার সহ নানা উপকরণ।
উপকরণ গুলো পরতে পরতে মিশিয়ে এতে ভালো ভাবে মিশিয়ে তা সেডে স্থাপিত রিং এ রেখে দেওয়া হয়।উপকরণ মেশানো থেকে তা রিং স্থানান্তর করন পর্যন্ত পুরো ধাপ গুলো পর্যবেক্ষন ও উপাদানের পরিমান নির্ধারনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সিংহগ্রাম ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমিত ভট্টাচার্য, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন। সহযোগিতায় ছিলেন কৃষক মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস ও আবদুল হামিদ।
এ বিষয়ে আলাপকালে কৃষক মোহাম্মদ বাহার উদ্দিন বলেন লাখাই এর মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে ইতিমধ্যে আমি বিভিন্ন জৈব সার ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন করে আসছি এবং তা আমি আমার জমিতে প্রয়োগ করছি এমনকি উদ্বৃত্ত সার বিক্রি করে আসছি।
তবে ভার্মি কম্পোস্ট এর মতো কার্যকরী ট্রাইকোকম্পোস্ট সার আরো কার্যকরী এ বিষয়টি কৃষি অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জানতে পেরে আমি এ সার উৎপাদনে মনোযোগী হই।
ট্রাইকোকম্পোস্ট সার এমন একটি সার যা একাধারে জমির জৈব উপাদান এর ঘাটতি পুরন করে,মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, মাটির পিএইচ ঠিক রাখে,ছত্রাক নাশক হিসাবে কাজ করে, ফসলের হরমোন হিসেবে কাজ করে। তাই এ কম্পোস্ট উৎপাদন করছি। সফল হলে বৃহৎ পরিসরে উৎপাদন করব বলে আশাবাদী। তিনি আরোও বলেন এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ শাহাদুল ইসলাম, বিদায়ী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান মিজান সহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন আমাকে পরামর্শ সহ নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।
তিনি আরোও বলেন মানসম্মত ও পরিবেশ বান্ধব জৈব সার ট্রাইকোকম্পোস্ট উৎপাদনে সর্বোচ্চ সতর্কতার অবলম্বন করেছি। পোল্ট্রি লিটারের লেড সহ ক্ষতিকর উপাদান থাকে বিধায় তা ব্যবহার করিনি এবং কাঠের গুঁড়া পরিবেশ বিনাশী ইউক্যালিপটাস গাছগুলোর পরিবর্তে দেশী প্রজাতির গাছের গুড়া ব্যবহার করেছি।
দ.ক.সিআর.২৫