কালনেত্র ডেস্ক;
১৬ কোটি মানুষের প্রাণের দাবি স্বৈরাচার হাসিনার পদত্যাগের এক দফার ঘোষণা আসে গত বছরের এই দিনে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এই ঘোষণা দিয়ে সরকারকে সর্বাত্মক অসহযোগিতার ডাক দেন। এ অবস্থায় সমন্বয়কদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন শেখ হাসিনা।
অনিশ্চয়তায় ভরপুর প্রতিটি নির্ঘুম রাত পেরিয়ে আসে নতুন ভোর। কিন্তু সেই ভোরও রক্তাক্ত; রক্তের হোলিখেলায় মত্ত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশে কেড়ে নেওয়া হয় শতশত ছাত্র-জনতার প্রাণ। ৩ আগস্টের সকালটাও তার ব্যতিক্রম নয়।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নপ্রান্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবিতে যুদ্ধাবস্থা। ছাত্র-জনতার উত্তাল ঢেউ রুখতে স্থানে স্থানে ক্ষণে ক্ষণে পুলিশ, র্যাব, বিজিবির মরণাস্ত্র ব্যবহার; সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগের সশস্ত্র হামলা।
জনগণের বিরুদ্ধে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে লেলিয়ে দিয়ে মায়াকান্না শেখ হাসিনার। সমন্বয়কদের জন্য গণভবনের দরজা সবসময় খোলা; সব দাবি পূরণ করা হবে- এমন আশ্বাস দিয়ে অপেক্ষায় স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সময় অনেক পেরিয়ে গেছে। ততদিনে রক্তে ভিজে গেছে দেশের প্রতিটি জেলার সবুজ ঘাস। ১৬ জুন থেকে একজন, দুজন করে সবার মুখে উঠে গেছে এক দফার দাবি- শেখ হাসিনার পদত্যাগ। বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ১৬ কোটি মানুষের সেই প্রাণের দাবিই ঘোষণা করেন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে সবদিক থেকে অসহযোগিতা করতে ১৫ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয় ছাত্রদের পক্ষ থেকে। যার পথ ধরে কেবল ৪০ ঘণ্টার মধ্যেই পতন ঘটে শেখ হাসিনার।
দ.ক.সিআর.২৫