জামাল হোসেন লিটন:
খায়রুন্নাহার পপি — এক সংগ্রামী, আত্মবিশ্বাসী ও অনুপ্রেরণাদায়ী নারীর নাম। যিনি শুধু নিজের জন্য নয়, সমাজ ও দেশের উন্নয়নে রেখে চলেছেন অবদান। আজ তার এই গল্প নতুন প্রজন্মের নারীদের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। গড়ে তুলেছেন ব্যবসায়িক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। নিজে প্রতিবন্ধী হয়ে সামাল দিচ্ছেন এসব প্রতিষ্ঠান।
ছোটবেলায় তিনি বেড়ে উঠেছেন সাধারণ এক গ্রামীণ পরিবেশে, যেখানে নারীদের অধিকাংশই শিক্ষার সুযোগ পেত না। কিন্তু খায়রুন্নাহার পপির ভেতরে ছিল এক দৃঢ় প্রত্যয়—নিজেকে গড়ে তুলতে হবে, সমাজে অবদান রাখতে হবে। পরিবারের সীমাবদ্ধতা ও সমাজের নানা বাঁধা পেরিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন একজন সফল সংগঠক, সমাজকর্মী এবং দক্ষ নারী হিসেবে।
তিনি শুধু নিজের ক্যারিয়ারেই থেমে থাকেননি। সমাজে নারীদের ক্ষমতায়ন, দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নে নিয়েছেন নানামুখী উদ্যোগ। একাধিক সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে তিনি অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন, গরীব ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় সাহায্য করেছেন, এবং নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ ও অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। গড়ে তুলেছেন অপরাজিতা নামে এনজিও। প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে সমাজ সেবামূলক কাজ করছেন। পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন অপরাজিতা ফ্যাশন, নাজাহ শাড়ি গ্যালারি ও অপরাজিতা বোরকা হাউজ। এতে অনেকের চাকরির সুযোগ করে দিয়েছেন।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয় তার অনন্য অবদানের জন্য। সেই সম্মাননা গ্রহণের মুহূর্তেই ধরা পড়ে এক গর্বিত নারীর হাসি, যিনি নিজের জীবনকে করেছেন সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।
খায়রুন্নাহার পপি আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন—একজন নারী চাইলেই হতে পারে সফলতার প্রতীক। সাহস, শিক্ষা ও মানবিকতার মিশেলে গড়ে উঠা তার জীবন আমাদের সকলের জন্য এক প্রেরণার বাতিঘর।
দক.সিআর.২৫