জুবায়ের আহমেদ, লাখাই প্রতিনিধি:
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না করাব ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছকে ৫ তারিখের পটপরিবর্তনের পর সারাদেশে যখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে, তখনও লাখাই উপজেলার ৫নং করাব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ মনতৈল মডেল কলেজের সভাপতির পদে বহাল থাকায় জনমনে তীব্র অসন্তোষ ও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি কীভাবে একইসাথে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন, তা নিয়ে এলাকায় চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
জানা গেছে, চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ীর একটি মামলার আসামী হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমন গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি কীভাবে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে এবং প্রকাশ্যে ইউপি চেয়ারম্যান ও কলেজ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, তা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, কোনো অদৃশ্য শক্তির কারণে তিনি এখনও এত প্রভাবশালী?
একজন ইউপি চেয়ারম্যান ১টি কলেজের সভাপতি হতে পারেন কিনা, এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যেহেতু কলেজটি এমপিওভুক্ত নয়, সেহেতু অর্গানাইজিং কমিটি চাইলে যেকোনো ব্যক্তিকে সভাপতি করতে পারে। শিক্ষা কর্মকর্তার এই ব্যাখ্যাও অবশ্য জনমনে শান্তি ফেরাতে পারেনি। তাদের প্রশ্ন, পটপরিবর্তন এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মতো একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও কেন আব্দুল কুদ্দুছকেই কলেজের সভাপতি পদে রাখা হচ্ছে? জুলাই মাসের আন্দোলনের পর দেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এলেও, মনতৈল মডেল কলেজে সেই পরিবর্তনের ছোঁয়া কেন লাগলো না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী মনে করছে, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান পদে এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তির আসীন থাকা শিক্ষা পরিবেশের জন্য শুভ নয়। তারা দ্রুত এই বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এবং মনতৈল মডেল কলেজের সভাপতি পদে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছেন।
দ.ক.সিআর.২৫