➖
সম্পাদকীয়—
দেশে হাজার হাজার মানুষ পারমিটে ইউরোপ যাবার আশায় বছরের পর বছর বেকার সময় পার করছে। কোথাও পাসপোর্ট জমা দিয়ে তারা ধরেই নেয় বিদেশ চলে যাবো দেশে কিছু করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু দেখা যায় কয়েক বছর বিভিন্ন চেষ্টা করেও তারা ইউরোপ যেতে পারেনি।
অনেকে ৪-৬ বছর চেষ্টা করেও যেতে পারেনি, এই সময় আশায় আশায় নষ্ট করেছে।অনেকে পাসপোর্ট জমা দিয়ে নিজের ব্যবসা চাকরি ছেড়ে দেয়,গাড়ি বিক্রি করে দেয়।একটা সময় দেখা যায় ট্রাভেলস এজেন্সিদের খপ্পরে পড়ে কয়েক লক্ষ টাকা সাথে অনেক সময় লস। তাই যারা ইউরোপ যাবার চেষ্টা করবেন ভুলেও নিজের ব্যবসা, চাকরি নিজের প্রফেশন থেকে অবসর নিবেন না, যখন ভিসা পাবেন তখন না হয় সিদ্ধান্ত নেবেন কিন্তু ভিসা হবার আগ পর্যন্ত এমন করবেন না, বেকার থাকবেন না।
ছোট কোন কাজেও লেগে থাকুন। স্টুডেন্ট ভিসা ছাড়া ইউরোপের ভিসার রেশিও ১% ধরে নিবেন। ইতালি, পর্তুগাল স্পেন, পোলান্ড, রোমানিয়া মাল্টা,এসব দেশের জন্যে কয়েক লক্ষ মানুষ বিভিন্ন এজেন্সিতে পাসপোর্ট দিয়ে রেখেছে কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল ইউরোপের ওয়ার্ক ভিসা হচ্ছে না ৯৯ জনের। তাই আপনি যেকোনো মাধ্যমে চেষ্টা করছেন মানে ধরে নিবেন ভিসা না হবার সম্ভাবনা ৯৯%। নিজের কাজ ছাড়বেন না ভিসা হবার আগ পর্যন্ত।
যারা স্টুডেন্ট বা অনার্সে পড়ছেন বা শেষ অথবা শুধু ইন্টার পাশ আপনারা এক বছর সময় নিয়ে ielts করুন,তখন আপনার ইউরোপ যাবার রাস্তা সহজ হবে। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সহজেই যেতে পারবেন। স্টাডি গ্যাপ ৮/১০ বছর হলেও ইউকে যাওয়ায় যায় মাস্টার্স কোর্সে। যাদের পর্যাপ্ত টাকা আছে ielts 5 পয়েন্ট দিয়েও ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে ইউকে যেতে পারবেন। সব শেষ বলি ইউরোপের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা মানে না হবার সম্ভাবনা ৯৯%।
স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার রাস্তা সব সময় খোলা রয়েছে। ielts করলে শুধুমাত্র ইউকে যেতে পারবেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসায়। স্টুডেন্ট ছাড়া যেকোনো ভিসার জন্যে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে নিজের কাজে লেগে থাকুন,কোথাও পাসপোর্ট জমা দিয়ে ধরে নিবেন ভিসা না হবার সম্ভাবনা বেশি তাই ভিসার আশায় বেকার থাকবেন না। এমন ভিসার আশায় হাজার হাজার মানুষ নিজেদের জীবনের কয়েক বছর নষ্ট করে ফেলেছে।
২-৩ বছরে যেকোনো একটা ব্যবসা বা ভালো কোন কাজ শেখা যায়, তাই ইউরোপের ভিসার আশায় দেশে বেকার থাকবেন না।
দ.ক.সিআর.২৫