➖
তানভীর আহমেদ রাহী, কালনেত্র
সিলেট বিভাগের চা-বাগান অধ্যুষিত একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রেমা বাগান। এখানে বসবাস করেন কয়েক হাজার শ্রমজীবী মানুষ। কিন্তু আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ছোঁয়া থেকে এখনো অনেক দূরে রয়েছে এই জনপদ। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই নাজুক। রেমা বাগানে প্রবেশের একমাত্র পথ হলো রেমা গুদারাঘাট, যেখানে নদী পারাপারের জন্য কোনো সেতু নেই। ফলে এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে ছোট ছোট নৌকা।
বছরের পর বছর ধরে এলাকাবাসী একটি সেতুর দাবি জানিয়ে আসলেও, এখনো পর্যন্ত সেই দাবি পূরণ হয়নি। বর্ষা মৌসুমে নদী ফুলে-ফেঁপে উঠলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় এই ঘাট দিয়ে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা, কর্মজীবী মানুষ, এমনকি অসুস্থ রোগীরাও এই পথেই চলাচল করে থাকেন। রোগী পরিবহনের জন্য এখানে নেই কোনো অ্যাম্বুলেন্স বা যানবাহনের ব্যবস্থা। বাইসাইকেল কিংবা মোটরসাইকেলই একমাত্র ভরসা, যা সব সময় কার্যকর নয়। বিশেষ করে মুমূর্ষু রোগীকে সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নৌকা পার হতে সময় লাগে অনেক, আবার ভিড় বেশি হলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। সন্ধ্যার পর ঘাট দিয়ে পারাপার একেবারেই অনিরাপদ। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও জরুরি সেবাগুলো থেকে কার্যত বঞ্চিত হচ্ছেন রেমা বাগানের মানুষ।
অথচ একটি সেতু নির্মাণ করা হলে এই সমস্যাগুলোর সমাধান সহজেই সম্ভব। স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে এবং শিশু-কিশোরদের শিক্ষাজীবনও হবে নিরাপদ।
রেমা বাগান এলাকার একজন প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “আমরা অনেকবার জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছি। প্রতিশ্রুতি অনেক পেয়েছি, কিন্তু বাস্তবায়ন কিছুই হয়নি। যত দিন যাচ্ছে, আমাদের ভোগান্তি তত বাড়ছে।”
এলাকাবাসীর মতে, রেমা গুদারাঘাটে একটি সেতু নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
দ.ক.তানভীর.২৫