➖
মনির সরকার, চুনারুঘাট
চুনারুঘাটের আবাসন প্রকল্পের ঘরগুলো প্রায়ই দখল করে আছে নামে বেনামে অনকগুলোই, বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকায়!
চুনারুঘাটের ১নং,গাজীপুর ইউনিয়নের আওতাধিন গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের ১৪০টি ঘর ভূমিহীনদে মাঝে বরাদ্ধ দেয়া হয়, এরমধ্যে ৭০টি পররিবার দখল বিক্রি করে চলে যাওয়ায় ওই ঘরগুলোর কিছু ব্যবহার হচ্ছে গোয়ালঘর হিসাবে আর বাকিগুলো জুয়া আর মাদক সেবীরা ব্যবহার করে যাচ্ছে।
জানা যায়, সরকারের অর্থায়নে ২০১৪ সালে আবাসন প্রকল্পটির উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই সমস্যার অন্ত এখানে। নেই স্কুল, মসজিদ, কবরস্থান ও যাতায়েতের রাস্তা। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্যানেটারী লেট্রিন ও গভীর নলকূপ স্থাপন করা হলেও সেগুলোও ব্যাবহার অনুপোযোগি হয়ে পড়ে আছে। নলকূপে উঠছে না পানি।
নির্মানের পর অকেজো হয়ে পড়লে সংস্কার না হওয়ায় গাজীপুর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম আবাসনের সব ঘরগুলো এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে লোকজন আবাসন প্রকল্পের বসতি ছেড়ে অনত্র চলে গেছেন।
পরিত্যাক্ত ঐ ঘরগুলো গোয়ালঘর হিসেবে ব্যবহার করছে স্থানীয় কয়েক প্রভাবশালী। আবাসন প্রকল্পের ওই পরিত্যক্তঘরে গরু-ছাগলের বাস। সন্ধ্যার পরে কোন কোন ঘরে বসে মাদকসেবীদের নেশার আসর। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের লোকজন এখন আর তেমন খোঁজখবর নিচ্ছে না
সরেজমিনে দেখা যায়, ১৪০টি পরিবারের জন্য নির্মিত ঘরগুলোর মধ্যে সেখানে বাস করছে ৭০ টি পরিবার। ঘরের চালার টিন মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে চালার টিনের ছিদ্র দিয়ে। চুরি হয়ে যাচ্ছে পরিত্যাক্ত ঘরের টিন। ১১টি গভীর নলকুপের মধ্যে ৯টিই বিকল। টয়লেটগুলো চাওনি ও টিনের বেড়া ভেঙ্গে গেছে। পানি সরবরাহ করার জন্য নেই কোন পুকুরের ব্যবস্থা। যেন অসহায় হতদরিদ্রদের এক দূর্বিসহ জীবন-যাপন!
আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা রুজিনা খাতুন জানান, স্বামী চাঁনমিয়া নিজস্ব কোন জায়গা জমি না থাকায় নিরুপায় হয়ে ছেলে-সন্তান নিয়ে তিনি আবাসন প্রকল্পে ওঠেন । জীবনযাপনের নুন্যতম কোন সুযোগসুবিধা এখানে নেই। বহু কষ্ট করে দিন মজুরের কাজ করে দিন যাপন করছেন তিনি।
নাগরীক সুবিধার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশানের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন আবাসনের নারী-পুরুষরা।
দ.ক.সিআর.২৫