➖
কালনেত্র প্রতিবেদন◾
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা পাহাড়, চাবাগান ও সীমান্ত ব্যষ্ঠিত একটি প্রশাসনিক উপজেলা। উপজেলার ভারত সীমান্তের বিভিন্ন বর্ডার দিয়ে প্রতিনিয়ত ঢুকছে মাদক দ্রব্য। ফলে মাদক হয়ে উঠেছে চুনারুঘাটের অন্যতম ব্যবসা।
অপর দিকে বালুদস্যুদের জ্বালায় চুনারুঘাট উপজেলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অতিষ্ঠ। খোয়াই নদীর পার্শ্ব এলাকাগুলোই বলেন আর বাল্লা সড়কই বলেন, কোথাও ওদের অনিয়মে শান্তিতে নেই কেউ।
উপজেলার কাচুয়া, রাজার বাজার ও বনগাও বাঁশতলা সহ আসামপাড়ায়ও মেইন রাস্তার পাশে রয়েছে বিশাল বিশাল বালুর ডিপু। সেসব স্থানে প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি দাড় করিয়ে লোড করা হয় বালু। সকাল সন্ধা বলে কোনো কথা নেই ২৪ ঘন্টাই চলে তাদের এমন কার্যক্রম ও অনিয়ম।
এই বালু ও মাদকের রমরমা ব্যবসার জন্য কয়দিন পরপরই চুনারুঘাট উপজেলার ইউএনও আর ওসির বদলি হয়। যে-ই আসে স্বার্থে না মিললেই তার বদলি হয়ে যায়। আওয়ামিলীগ আমলেও হইসে, এখনও হয়।
ব্যবসায়ীরা এসব মাদক উপজেলার এক স্পট থেকে অন্য স্পটে ছড়িয়ে দেয়। পরে বিভিন্ন পন্থায় হবিগঞ্জ জেলায় ও সারাদেশে পাচার হয় এসব মাদক। যা সেবনের কারণে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে মাদক সেবনে বেশি ঝুঁকছে চুনারুঘাটের উঠতি বয়সের ছেলেরা। ফলে নষ্ট হচ্ছে তাদের সোনালী ভবিষ্যত।
মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে যুবকদের মধ্যে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা। নেশা করার জন্য টাকা না পেলে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, খুন সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে যেকেও।
বলা যায়- এ সময়ে মাদক এক প্রকার সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে মাদক সেবনকারীরা নিজের জীবনকে বিনষ্ট করে, অপরদিকে তার সাথে জড়িত পরিবার ও সমাজকে অতিষ্ট করে তুলে। এক সময় নেশায় বশীভূত হয়ে মা-বাবাকে খুনও করতে পারে।
তবে বালুদস্যু আর মাদক কারবারিকে এ ব্যবসায় বাধা দিলে তারা হিংস্র হয়ে উঠে। মিথ্যা মামলা, হামলা, এমনকি খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। এসব চিত্র চুনারুঘাটে হারহামেশাই দেখা যায়।
আর অবৈধ ব্যবসায়ীদের হাতে ক্ষমতা রেখে যেমন দেশের উন্নতি সম্ভব না, তেমনি মাদকের ভয়াল থাবায় জরাজীর্ণ দেশের সোনালি এক প্রজন্ম।
দ.ক.সিআর.২৪