➖
নিজস্ব প্রতিবেদক◾
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ও এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এক প্রবাসীকে মামলার ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন কবির চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
তবে চুনারুঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দেলোয়ার তাঁর নাম ভাঙিয়ে এ চাঁদাবাজি করেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা, বালু ব্যবসায়ি সুজাতুল হক ভূঁইয়া গত ২৬ নভেম্বর আমেরিকা যান। যাওয়ার আগের দিন ওসি তাকে মুঠোফোনে থানায় এসে দেখা করতে বলেন। সুজাতের বিরুদ্ধে নাকি নানা অভিযোগ আছে। সুজাত দেশের বাইরে যেতে পারবে না।
পরবর্তিতে সুজাত তাঁর এক আত্মীয়কে থানায় পাঠান। ওই আত্মীয়কে ওসি বলেন, সুজাত ভুইয়া বালু ও আগর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের খুশি না করলে তাকে বিদেশ যেতে দেয়া হবে না।
এসব কথা শুনে এবং আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গের ভয়ে সুজাত ভুইয়া তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের একজনকে দিয়ে ২ লাখ টাকা ওই বিএনপি নেতার কাছে পাঠান।
এদিকে সুজাত ভুইয়া নিরাপদে আমেরিকা পৌছেই গত ২ ডিসেম্বর পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে এবিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক চুনারুঘাট থানার ওসির কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি জানান, বিএনপি নেতা তাঁর নাম ভাঙিয়ে এ টাকা নিয়ে থাকতে পারেন।
পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে গত মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় বিএনপি নেতা কবিরকে তাঁর বাড়ি থেকে আটক করে চুনারুঘাট থানা-পুলিশ। পরদিন আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠায়।
অভিযোগের বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম কালনেত্র প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমার নাম ভাঙিয়ে দেলোয়ার টাকা নিয়েছে। এর সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দেলোয়ারকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কালনেত্র প্রতিনিধিকে পুলিশ সুপার রেজাউল হক বলেন, ঘটনার সঙ্গে ওসি জড়িত কি না তা তদন্ত করে দেখছেন। তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ.ক.সিআর.২৪