বিশেষ প্রতিনিধি◾
প্রবাসীর বসত বাড়িতে মাদকের চালান রাখতে না দেওয়ায় বাড়ির কেয়ারটেকারকে মারধর ও ভাবিদের হুমকি ধামকির অভিযোগ করেছেন চুনারুঘাট উপজেলার ঘনশ্যামপুর গ্রামের প্রবাসী শাহীন মিয়ার স্ত্রী আজিজুন্নেছা তালুকদার জলি ও তার দুই জা নুরজাহান বেগম এবং মাহমুদা আক্তার।
গত ৯ অক্টোবর চুনারুঘাট থানায় একটি জিডি এন্ট্রির আবেদন করেছেন তারা।
জিডিতে তারা উল্লেখ করেন, তাদের তিন জা এর স্বামীরা প্রবাসে থাকার কারণে শাহিন মিয়ার স্ত্রী আজিজুন্নেছা তালুকদার জলি হবিগঞ্জে ও বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী নুর জাহান চুনারুঘাট শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। অপর আরেক ভাই প্রবাসী ছায়েদ মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৪০) স্বামীর বসত ভিটাতেই থাকেন।
তিন প্রবাসী ভাই ও ফয়সল মিয়ার পিতা হাজী মানিক মিয়া শতাধিক বছর বয়সী বৃদ্ধ।
প্রবাসী বিল্লাল মিয়ার বাড়ি-ঘর দেখাশোনা করতেন একই গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার পুত্র জমরুত মিয়া। শাহীন মিয়ার বাড়ি ঘর দেখাশোনা করতেন তাহার ছোট ভাই ফয়সল মিয়া (৩৫)।
ফয়সল মিয়া তার ভাইয়ের ফাঁকা বাড়ি-ঘর পেয়ে তাতে মাদক ব্যবসার আঁকড়া বানিয়ে তোলেন। আশপাশে এ নিয়ে কানাঘুষা শুরু হলে ব্যাপারটা প্রবাসী ভাইদের কানে পৌঁছায়। ভাইয়েরা ফয়সলের কাছ থেকে বাড়ির চাবি নিয়ে পূর্ব নিযুক্ত কেয়ারটেকার জমরুত মিয়াকে সমজিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় ফয়সল। বিভিন্ন সময় মাদকের চালান মজুদ রাখার জন্য কেয়ারটেকার জমরুত মিয়াকে চাপ দেয়া শুরু করে। জমরুত মিয়া এতে অসম্মতি প্রকাশ করলে তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে কাজ সারতে চাইতেন ফয়সল। জমরুত বিষয়টি শাহীন মিয়াকে জানায়। শাহীন মিয়া বিষয়টি আশপাশের মুরুব্বিয়ানদের জানাতে হবিগঞ্জে বসবাসকারী তার স্ত্রী আজিজুন্নেছা তালুকদার জুলিকে বাড়িতে পাঠান। তাতে ফয়সল আরও ক্ষীপ্ত হয়। তিন জা’য়ের সাথেই অশালিন আচরণ ও ভয়ভীতি, জবর, দখলের ব্যবহার করতে থাকে।
এ বিষয়ে জা’য়েরা আশপাশের মুরুব্বিদের সাথে পরামর্শ করে থানায় গিয়ে জিডি এন্ট্রির আবেদন করেন।
উল্লেখ্য যে, এর আগেও ফয়সলকে মাদকের চালান বসত ঘরে রাখতে না দেওয়ায় একই গ্রামের মৃত জহুর আলী মীরের স্ত্রীকে মারধর করেছিল ফয়সল।
অভিযুক্ত ফয়সলের প্রবাসী ভাই বিল্লাল মুঠোফোনে কালনেত্র প্রতিবেদক কে জানান, সম্প্রতি ফয়সল তাদের বাড়ির রাস্তারগাছ জোরপূর্বক বিক্রয় করার চেষ্টা করছে। তাকে বাঁধা দিতে ভয় পাচ্ছেন তাদের স্ত্রীরা। কেয়ারটেকার জমরুতও ভয়ে চাকরি ছেড়ে দিতে চাইছেন।
এ বিষয়ে, প্রবাসী বিল্লাল ও তার ভাইয়েরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
দ.ক. সিআর.২৪