➖
কালনেত্র ডেস্ক◾
হিন্দু ধর্মীয় নেতাকে গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামে সংঘর্ষে এক আইনজীবী নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। সেই সঙ্গে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে সংঘর্ষের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া এবং আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পক্ষ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস পেরিয়ে আসার পর এখন পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, নানা ক্ষেত্রে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে।
পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভের পর ব্যাটারি রিকশার চালকদের অবরোধ এবং কলেজে কলেজে সংঘর্ষ, অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকায় মানুষ জড়ো করা নিয়ে এক ধরনের ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়ার কথা উপদেষ্টাদের মুখ দিয়েই এসেছিল।
তার মধ্যেই সোমবার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র, চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে।
তাকে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে চিন্ময়ের অনুসারীরা। তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে এক আইনজীবী নিহত হন।
এই অবস্থায় সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কা থেকে উপদেষ্টা মাহফুজ ও অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ শান্ত থাকার বার্তা দেন ফেইসবুকে।
মাহফুজ লিখেছেন, “গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে শান্ত থাকুন। নিরীহ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।”
সরকার দ্রুতই সব রাষ্ট্রদ্রোহী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
চট্টগ্রামের সংঘাতের পর উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কোনও ধরনের উসকানিতে কাউকে সাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি ফেইসবুকে লিখেছেন, “রাষ্ট্রদ্রোহ এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারই যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। সকলকে ধৈর্য ধারণ করার এবং কোনও প্রকার উস্কানিতে সাড়া না দেওয়ার আহ্বান রইল।”
একই আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেইসবুকে লিখেছেন, “আপনারা ধৈর্য ধরুন, শান্ত থাকুন। নিজেরা আইন হাতে তুলে নিয়ে দয়া করে কোনও ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করবেন না। আপনারা শান্ত থাকুন, সতর্ক থাকুন, ধৈর্য ধরুন।”
দ.ক.সিআর.২৪