1. live@kaalnetro.com : Bertemu : কালনেত্র
  2. info@www.kaalnetro.com : দৈনিক কালনেত্র :
বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
লাখাইয়ে পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল, উৎকন্টায় জনসাধারণ হামলায় নিহত বিএনপি নেতা মহসিন হত্যার ঘটনায় আসামী গ্রেফতার নদী ভাঙ্গনে ঘর সরাতে না পেরে ফোনে ইউএনও এর সহযোগীতা চাইলেন এক বৃদ্ধা সাংবাদিক তুহিন সহ দেশব্যাপী সাংবাদিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে চুনারুঘাটে মানববন্ধন দর্জি থেকে তথাকথিত সাংবাদিক; অভিযোগের তীরে বিদ্ধ ‘দর্জি মিজান’ চুনারুঘাটে পাহাড় ধসের ফলে হুমকির মুখে রামগঙ্গা সড়ক লাখাইয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দুনিয়া বিপ্লবী কাস্ত্রো নিজে খুন হওয়ার জন্য প্রেমিকার হাতে পিস্তল তোলে দেয়ার অত:পর চুনারুঘাটে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসে অভিজ্ঞতা সনদ ও চেক বিতরণ রাজারহাটের প্রথিতযশা সাংবাদিক প্রয়াত আলমগীর কবিরের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রাথমিকে স্কুল ফিডিংয়ের আওতায় যেসব উপজেলা—

দৈনিক কালনেত্র
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫

কালনেত্র ডেস্ক

আগামী জুলাই মাসে চালু হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফিডিং কর্মসূচি। দেশের ১৯ হাজার ৪১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এ কর্মসূচির আওতায় আসছে। শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে ও ঝরে পড়া রোধে সপ্তাহের পাঁচ দিন দুপুরের খাবার দিতে সরকার এ কর্মসূচি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।

যদি কোনো কারণবশত জুলাই মাসে শুরু করা না যায় তবে আগস্ট থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

গত ২১ জুন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্মসচিব ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুটি পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসূচিটি সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ও বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।

এই কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে স্কুল চলাকালে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুষ্টিসমৃদ্ধ ফর্টিফাইড বিস্কুট, ইউএইটটি মিল্ক, বনরুটি, সিদ্ধ ডিম, কলা ও স্থানীয় মৌসুমি ফল প্রদান করা। সপ্তাহের রবিবারে বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম, সোমবার বনরুটি ও ইউএইচটি দুধ, মঙ্গলবার বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম, বুধবার ফর্টিফাইড বিস্কুট ও কলা বা স্থানীয় মৌসুমি ফল এবং বৃহস্পতিবার বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম প্রদান করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের আট বিভাগের ৬২ জেলার ১৫০টি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর জন্য স্কুল ফিডিং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

উপজেলাগুলো হলো ঢাকা নবাবগঞ্জ, গাজীপুর সদর ও টঙ্গী, নরসিংদী সদর, বেলাবো, মনোহরদী, পলাশ, রায়পুরা, শিবপুর, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, ভৈরব, করিমগঞ্জ, কটিয়াদী, কুলিয়ারচর, মিঠামইন, নিকলী ও তারাইল, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও ঘিওর, টাঙ্গাইলের সখীপুর, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ও বালিয়াকান্দি, ফরিদপুর সদর, ভাঙ্গা, বোয়ালমারী, চরভদ্রাসন, নগরকান্দা ও সালথা, মাদারীপুর সদর, ডাসার, কালকিনি, রাজৈর ও শিবচর, শরীয়তপুর সদর, গোসাইরহাট ও জাজিরা, কুমিল্লার বরুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও নাসিরনগর, চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব দক্ষিণ ও উত্তর, ফেনীর সোনাগাজী, নোয়াখালীর সূবর্ণচর, লক্ষ্মীপুরের রামগতি, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, রাঙামাটির বিলাইছড়ি, খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, পাবনার বেড়া, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, নাটোরের গুরুদাসপুর, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর ও শিবগঞ্জ, নওগাঁর বাদলগাছি, জয়পুরহাটের কালাই, যশোরের অভয়নগর, ঝিকরগাছা ও কেশবপুর, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, নড়াইলের কালিয়া, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা, মাগুরার শ্রীপুর, খুলনার পাইকগাছা, বাগেরহাটের শরণখোলা, ঝিনাইদহের শৈলকূপা, বরিশালের বাকেরগঞ্জ, বানারীপাড়া, গৌরনদী, হিজলা, মুলাদী ও উজিরপুর, ঝালকাঠির কাঠালিয়া ও নলছিটি, পিরোজপুর সদর, ইন্দরকান্দি, কাউখালী, মঠবাড়িয়া ও নেছারাবাদ, ভোলার বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, মনপুরা ও তজুমুদ্দিন, বরগুনার তালতলী, সিলেটের গোলাপগঞ্জ, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জের বাহুবল, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্বরপুর, ছাতক, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, শাল্লা ও শান্তিগঞ্জ, ময়মনসিংহের ফুলপুর, ধুবাউড়া, গৌরীপুর, হালুয়াঘাট ও ঈশ্বরগঞ্জ, জামালপুরের বকশীগঞ্জ, মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ি, শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ি, নেত্রকোণা সদর, আটপাড়া, বারহাট্টা, দুর্গাপুর, খালিয়াজুড়ী, মদন ও মোহনগঞ্জ।

ইতোমধ্যে উভয় প্রকল্পের জন্য প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে স্থানীয় প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি তদারকি কমিটি গঠিত হবে, যারা কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহে পাঁচ দিন শিক্ষার্থীরা আলাদা আলাদা খাদ্য পাবে। শিক্ষার্থীদের একটি করে সিদ্ধ ডিম, ১২০ গ্রাম ওজনের বনরুটি, ২০০ মিলিলিটার ইউএইচটি দুধ, ৭৫ গ্রাম ওজনের একটি বিস্কুট ও ১০০ গ্রাম ওজনের একটি কলা অথবা স্থানীয় মৌসুমি ফল দেওয়া হবে। প্রস্তাবিত খাদ্য তালিকায় মোট এনার্জির ২৫ দশমিক নয় শতাংশ, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ৩২ দশমিক দুই শতাংশ, প্রোটিনের ১৬ দশমিক চার শতাংশ ও ফ্যাটের ২১ দশমিক ৭ শতাংশ সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করা, শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি বাড়ানো, ঝরে পড়া রোধ করা, অপুষ্টিজনিত সমস্যা হ্রাস ও শিক্ষায় মনোযোগ ধরে রাখা। একইসঙ্গে এটি সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে।

তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এই কর্মসূচি সম্প্রসারণের।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম, বনরুটি ও কলার মতো খাবারের প্রয়োজন রয়েছে। অনেক পরিবার আর্থিক অক্ষমতার কারণে এসব প্রয়োজনীয় খাদ্য তাদের সন্তানদের দিতে পারে না। তাই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো, শিশুদের দীর্ঘ সময় বিদ্যালয়ে ধরে রাখা, দুপুরে তাদের ক্ষুধা নিবারণ করা এবং অপুষ্টির প্রতিকার করা।’

দ.ক.সিআর.২৫

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© 𝐰𝐰𝐰.𝐤𝐚𝐚𝐥𝐧𝐞𝐭𝐫𝐨.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট