1. live@kaalnetro.com : Bertemu : কালনেত্র
  2. info@www.kaalnetro.com : দৈনিক কালনেত্র :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
যবিপ্রবি গবেষকের ন্যানো ইউরিয়া সার উদ্ভাবন চুনারুঘাটে ডা: নুরুল ইসলাম স্মরণে পদক্ষেপ গণপাঠাগারের স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত চুনারুঘাটে পদক্ষেপ গণ পাঠাগারের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালন মাধবপুরে মাদ্রাসা ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু মহান মে দিবস: শ্রমজীবী মানুষের অধিকার-দাবি আদায়ের দিন আমার দেশ এর সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে মানববন্ধন হবিগঞ্জের হাওরে ধানের বাম্পার ফলন দাম নিয়ে শংকিত কৃষক! সারা দেশে এলজিইডির কাজে দুদকের অভিযান- কালনেত্র ক্লিনটেক: পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির পথচলা ও ভবিষ্যৎ চুনারুঘাটে খাল খননে জনতার বাঁধা, পরিদর্শনে ইউএনও, তোপের মুখে ইউপি চেয়ারম্যান

কে জানে একটি গাছের মাধ্যমেই আপনার সমস্ত পাপ মোচন হতে পারে!

দৈনিক কালনেত্র
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক
ফয়সাল আহমেদ◾

লোকে আমাকে পাগল ও বোকা বলে। কারণ, আমি যে গাছগুলো লাগাই তার কোনো অর্থনৈতিক মূল্য নাই। ২০২০ সালে একটি পাকুড় গাছ লাগিয়েছিলাম। পাকুড়! এটা আবার লাগানোর মতো কোনো গাছ হলো? উপহাসের পাত্র হয়েছিলাম।

 

আজ প্রায় চার বছর পর গাছটি তার সমস্ত জীবনীশক্তি দিয়ে নিজেকে মেলে ধরেছে। এই গাছের নিচেই সুপারি গাছের কাণ্ড দিয়ে বেঞ্চি বানিয়েছি। অনায়াসে ৪ জন একসাথে বসা যায় ওই বেঞ্চিতে।

 

গেল গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে কত পথিকের শরীর শীতল হয়েছে এই গাছের ছায়ায়, তা হিসেবের প্রয়োজন বোধ করি না। ভোরের আলো ফুটতেই প্রতিবেশীদের সাথে সাক্ষাৎ হয় এই পাকুড় গাছের নিচেই।

 

কিছুদিন আগে খেয়াল করলাম, পাকুড় গাছে ফল এসেছে। দেখতে কিছুটা ডুমুরের মতো। তবে, সেই ফল মানুষ কখনও খেয়েছে বলে শুনিনি। তারই দু’দিন পর দেখলাম কিছু উজ্জ্বল সবুজ ও হলুদাভ সবুজ বর্ণের দুই প্রজাতির পাখিতে গাছটা ভরে গেছে!

 

পাখি দুটির নাম নীল-গলা বসন্তবৌরি ও সেকরা বসন্তবৌরি। ওদের পালকের রং এতটাই আকর্ষণীয় যে নিস্পৃহ কঠিন হৃদয়ের মানুষেরও মন জুড়াতে বাধ্য, সুবহানাল্লাহ!

 

আমাদের এলাকায় এই পাখিটি খুবই দুর্লভ, আগে সচারাচর দেখা যেত না। পাকুড়ের ফল ওদের প্রিয় খাদ্য। ওরা একে অন্যের সাথে পাল্লা দিয়ে ফল খাচ্ছে৷ এ এক অপূর্ব দৃশ্য।

 

একই গাছে আরও দুটি কোকিল (পুরুষ ও স্ত্রী) অবস্থান করছে বেশ কয়েকদিন যাবৎ। ওরাও ফলটি খাচ্ছে। সত্যি বলতে এই পাকুড় গাছটিই এখন ওদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। আমাদের আশেপাশের কয়েকটি বাড়ির মানুষের অবসর কাটানোর জায়গাও ওই পাকুড়তলা। এই শান্তির মূল্য কত হতে পারে?

 

এজন্য বলি, কিছু নিছক গাছও বেড়ে উঠতে দিন। আপনি তাতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান নাও হতে পারেন, তবে কিছু প্রাণীর রিজিকের ব্যবস্থা হলেও তো হতেও পারে। মানসিক প্রশান্তিও তো পেতে পারেন।

 

মানুষ উপকৃত হয়ে দোয়া করবে কি না বা, তার দোয়া কবুল হবে কি না তা বড়ই অনিশ্চিত ব্যাপার। তবে, আপনার মাধ্যমে যদি কিছু পশুপাখি উপকৃত হয় তাহলে আপনার পূন্যের পাল্লা ভারী হচ্ছে এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ, পশুপাখি নিষ্পাপ। এরা সবসময়ই মহান সৃষ্টিকর্তার প্রশংসায় নিমগ্ন থাকে।

 

তাই, অনুরোধ করি, অপ্রয়োজনে কোনো গাছ কাটবেন না। দুনিয়ায় যত পাপ করেছি, মহান আল্লাহ হিসেব নিলে আজীবন জাহান্নামে থাকতে হবে নিশ্চিত। কিন্তু, কে জানে একটি গাছের মাধ্যমেই আপনার সমস্ত পাপ মোচন হতে পারে?

দ.ক.সিআর.২৪

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© 𝐰𝐰𝐰.𝐤𝐚𝐚𝐥𝐧𝐞𝐭𝐫𝐨.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট