কালনেত্রঃ বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নাই, যা হলো তা ইতিহাসের নিরিখে বাস্তবই বলা যায়। বাঙ্গালীর বেলাতেত বটেই।
বলা হয়ে থাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ভার্সাই চুক্তির মধ্যেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বীজ বপন করা ছিল। পৃথিবীর প্রতিটি বিজয় উৎসবেই নতুন যুদ্ধের সূত্রগুলোর স্থীর হয়ে যায়। হতাশ হয়ে লাভ নেই, এটা ইতিহাসেরই রীতি।
রাষ্ট্র এর চেয়েও বড় বিষয়, উত্থান পতনের ধারাবাহিকতায় তার প্রবাহ চলতে থাকে। ইউরোপের প্রতিটি দেশের অবস্থা আজ থেকে ২০০ বছর আগে ঠিক আমাদের মতো ছিল। তবু একটা পার্থক্য আছে, সেটা হলো তখন তথাকথিত আন্তর্জাতিক বন্ধু রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কার্যকর ছিলনা। এই কারণে তারা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিল। অধিকাংশ রাজতন্ত্রকে সাংবিধানের অংশ করে ফেলেছে। রাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র মিলে একটা স্থীতিশীলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। যার ফলে ইউরোপ আজকে এত উন্নত।
ডক্টর ইউনুস যেহেতু একজন আধুনিক ’গোপাল’, ৭ম শতাব্দিতে যাকে বাংলার জনগণ রাজা হিসাবে মনোনিত করেছিল। ডক্টর ইউনুসকে আমরা যদি সাংবিধানিক রাজা বানিয়ে দিতে পারি তবে দেশের জন্য একটা প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন ঘটানো যাবে। কারণ এক কক্ষ বিশিষ্ট দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র কার্যকর নয়। ইউনুস সাহেব থাকলেন ঐক্যের প্রতিক হয়ে, আর দলগুলো নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগীতা করে সরকার পরিচালনা করলো। সরকার পরিবর্তনের সময় রাষ্ট্রটা নিরাপদ থাকলো।
আসাদ ঠাকুর
কবি, লেখক ও সাংবাদিক
কে/সিআর/২৪