রিয়াদ হোসাইম, সন্দ্বিপ প্রতিনিধি◾ ইদানিং কতগুলো মুর্খ নিজেকে নাস্তিক দাবী করে। অথচ আহমেদ শরীফের ভাষায় নাস্তিক হওয়া খুব সহজ বিষয় নয়। সেই মুর্খ নাস্তিকগুলো মানব সমাজে মুসলীমদের অবদানকে ব্যাঙ্গ করে ক্রমাগত লেখালেখি করে। যেন সারা পৃথিবীর একমাত্র সমস্যা হলো মুসলীম!
কিন্তু সভ্যতার ক্রমাগত পরিমার্জন প্রক্রিয়াতে মুসলীমরা বলতে গেলে বিপ্লবী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান কাল অনেক বেশী জ্ঞান ও জনমত দ্বারা প্রভাবিত। কিন্তু ধর্ম হিসাবে ইসলাম যে বৈপ্লবিক অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছিল তার তুলনা মেলা কঠিন।
সবচেয়ে বেশী সমালোচনা হয় ইসলামের বিবাহ ও নারী পুরুষের সম্পর্কে বিষয় নিয়ে। অথচ সেটা ছিল সেই সময়ের জন্য একটি বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত যার অন্যতম উদ্যেশ্য ছিল নারী ও শিশুর নিরাপত্তা। অনিয়ন্ত্রিত বহুগামীতার সমাজ থেকে নিয়ন্ত্রীত সম্পর্কের সূচনা করে মুসলীমরাই প্রথম।
কল্যান রাষ্ট্রের বিধান হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে কিন্তু জাকাত প্রথার মাধ্যমে একটি কল্যান রাষ্ট্রের সূচনা করে মুসলীমরাই। নারীদের সম্পদের মালিকানা এখনো ভারতের অধিকাংশ অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু কম হলেও মুসলীমরা সেটা করতে সক্ষম হয় সপ্তম শতাব্দিতে। এখনো হিন্দু সমাজে পুত্রের চাহিদা চরম। ভারত হলো বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশী নারী ভ্রুন হত্যাকারী দেশ।
মুসলীমদের বড় সমস্যা ধর্ম নয়, বরং তাদের বড় সমস্যা তারা পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক রাজনীতিকে মোকাবেলা করতে সক্ষম নয়। তারা ক্রমাগত বিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর মতো প্রজ্ঞাবান হয়ে উঠতে পারেনি। এই পরিস্থিতির জন্যও দায়ী সম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো।
এতকিছুর পরেও আফ্রিকা, এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার জনগোষ্টির অবস্থান অমূসলীমদের চাইতে উন্নত।
কে সিআর/২৪